ধর্মের তাস বরাবরই প্রিয় গেরুয়াশিবিরের। ২০১৪-এ নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের নানাবিধ ঘটনায় তা বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ করা সঙ্ঘ ও বিজেপির অতি পুরোনো অ্যাজেন্ডা। আদবানির রথযাত্রা থেকে শুরু করে করসেবা এমনকী বাবরি মসজিদ ভেঙে মন্দির নির্মাণেরও ডাক দিয়েছিল সঙ্ঘ নেতৃত্বাধীন সাধুসন্তদের আখড়া ও হিন্দুত্ববাদী মঠ-আশ্রমের মহন্তরা। বাবরি পরবর্তী রাজনীতি, সুপ্রিম কোর্টে বহু লড়াইয়ের শেষে রামমন্দির নির্মাণের রায় হয়। তারপর থেকেই প্রবল উদ্দীপনায় শুরু হয় মন্দির নির্মাণের কাজ। আসন্ন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই রামমন্দিরকেই অন্যতম প্রধান হাতিয়ার করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। তাই ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে মকর সংক্রান্তিতে মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালর মূর্তিতে পুজোপাঠের মধ্যে দিয়ে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানিয়েছে মন্দির নির্মাণে দায়িত্বপ্রাপ্ত অছি পরিষদ।
উল্লেখ্য, অযোধ্যার রামমন্দির নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় ১৮০০ কোটি টাকা। ২০২৩-এর ডিসেম্বরে মন্দির নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হবে। লোকসভা নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ হল উত্তরপ্রদেশ। রাজনৈতিক মহলে একটা কথা চালু আছে উত্তরপ্রদেশ যার, দিল্লি তার। সে কারণে এবং সমস্ত হিন্দু ভোটকে কেন্দ্রীভূত করতে বিজেপি’র পরিকল্পনা হল, যে করেই হোক লোকসভা নির্বাচনের আগে রামলালার মন্দির নির্মাণ ও বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার কাজে সেরে ফেলা। শ্রীরামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের অছি পরিষদের সদস্যরা জানান, মন্দির নির্মাণে ১৮০০ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে। অযোধ্যার ফৈজাবাদ সার্কিট হাউসে অছির সদস্যরা ম্যারাথন বৈঠক করেন সম্প্রতি। সেই বৈঠকেই মন্দিরের নিয়মনীতি স্থির করা হয়। সেখানে সকলে একমত হয়েছে, শুধু রামলালা, সীতা, লক্ষ্ণণ ও হনুমানের মূর্তি নয়, মন্দিরে ভিতরে বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তিও বসানো হবে। ফের একবার রাম লালাকে সামনে রেখেই কি ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার হতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী? তেমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।