সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠানে বাংলার ১১ হাজার ছেলেমেয়ের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি করলেন, উৎকর্ষ বাংলা সত্যিই আজ উৎকর্ষতার পরিচয় দিয়েছে। এদিন তিনি বলেন, ‘বাংলা বিশ্বের সেরা। এ রাজ্যের ছেলেমেয়েরা রাজ্যকে গর্বিত করেছে। গোল একমাত্র বাংলাই দেবে। বাংলাই গোল দেওয়ার ক্ষমতা থাকে।’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমার টার্গেট কর্মসংস্থান। দেশে যখন ৪৫ শতাংশ কর্মসংস্থানের হার কমেছে। তখন এ রাজ্যে ৪০ শতাংশ বেড়েছে। ৪০ শতাংশ দারিদ্রতাও দূরীকরণ হয়েছে বাংলায়। কিন্তু, কতগুলো লোক তা চায় না। গণ্ডগোল করে বেড়াচ্ছে। শুধু এজেন্সি রাজ চালাচ্ছে। কোনও উন্নয়ন নেই।’
তিনি এ-ও জানান, যে কারিগরি শিক্ষায় আরও বেশি করে জোর দিচ্ছি। বাড়িতে হাতে তৈরি জিনিস বিক্রি করা হচ্ছে। হোম ট্যুরিজমের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। প্রচুর কাজের সুযোগ রয়েছে বাংলায়। এই বছর প্রথম সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ স্কুলের জামা কাপড় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েরা তৈরি করছেন। অথবা দর্জিদের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। এতদিন এই জামাকাপড় বাইরে থেকে আসত। অর্থাৎ সরাসরি কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। একইসঙ্গে বন্যা, পুজো, ঈদের শাড়ি তাঁতিদের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। তিন বছর করে অর্ডার পাচ্ছেন তাঁরা। তাঁর আরও সংযোজন, ‘বাংলায় ৪৫ হাজার মেয়ে চাকরি পেয়েছে। ই-মেলে চাকরির নিয়োগপত্র চলে যাচ্ছে। ২০০টির বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি হচ্ছে। ক্ষুদ্র শিল্পে ১ কোটি ৩৬ লাখ মানুষ কাজ করছেন। রাজ্যের বাইরে যাওয়ার দরকার নেই। চাকরি আপনার দরজায় এসে আপনাকে ডাকবে। ৩৪ বছরে রাজ্যে শিল্প তছনছ করা হয়েছিল। সেই শিল্প আজ জাগছে। আমরা সব সময় শিল্প বান্ধব। বাইরে গিয়ে কাজ করুন, অল্প সময় থেকে ফিরে আসুন।’