এবার উত্তরবঙ্গের সেচ সমস্যা মেটানোর উদ্যোগ নিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। তিনি যে জলপাইগুড়ি জেলার সেচ সমস্যা নিয়ে অবহিত, মালবাজারের সভায় নিজেই সে কথা জানিয়েছেন মমতার সেনাপতি। এই বিষয়ে রাজ্যের সেচ মন্ত্রীর সঙ্গে যে তাঁর কথা হয়েছে সে কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
উত্তরবঙ্গে বিশেষ করে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায় কৃষিকাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পর্যাপ্ত জল। এর জন্য প্রয়োজন অধিকমাত্রায় সেচ নালা। আর এই সেচ নালা তৈরিতে একদিকে সমস্যা হয়ে আছে জমিজট। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের নদী ভাঙন প্রতিরোধ ও কৃষি ক্ষেত্রে সেচ ব্যবস্থার পরিকাঠামোগত সমস্যা নিয়ে জলপাইগুড়িতে বৈঠক করে গিয়েছেন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। আর মালবাজারের সভা থেকে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জলপাইগুড়ি সেচ সমস্যা নিয়ে নতুন সেচ মন্ত্রী আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। সাড়ে পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে আগামী ৮ মাসে চাষের জমিতে জল পাঠানোর ব্যবস্থা হয়ে যাবে। প্রয়োজনে পার্থ ভৌমিককে পুজোর আগে আর একবার আসতে বলবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পার্থ ভৌমিক জানিয়েছেন, সেচ নালা তৈরি করার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জমিজট। গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সেই জট কাটিয়ে অবিলম্বে সেচ নালা তৈরির কাজ শুরু করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ভাঙন প্রতিরোধ ও কৃষি জমিতে কী করে আরও সেচের জল পৌঁছে দেওয়া যায় মূলত সেই বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধ খুব ব্যয়বহুল। কেন্দ্র সরকারের সাহায্য ছাড়া পরিপূর্ণতা পাওয়া কঠিন ব্যাপার। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের পূর্ণ সহায়তা পাচ্ছি না। কেন্দ্র সাহায্য করলে এতদিনে উত্তরবঙ্গের মানুষদের পুরোপুরি চিন্তামুক্ত করতে পারতাম।’ তিনি এ-ও বলেন, ‘এলাকার মানুষ বিজেপি নেতাদের বিধায়ক করেছে। তাদের উচিত মানুষের সমস্যার কথা কেন্দ্রের কাছে পৌঁছনো। বিজেপির যারা বিধায়ক রয়েছেন তারা মাইনে নিচ্ছেন কিন্তু মানুষের কাজ করছেন না।’