কাটল ট্রফির খরা। ষষ্ঠ বারের জন্য এশিয়া কাপের খেতাব এল শ্রীলঙ্কার ঘরে। রবিবার দুবাইয়ে প্রতিযোগিতার ফাইনালে পাকিস্তানকে ২৩ রানে হারিয়ে দীর্ঘ আট বছর পর আবার এশিয়াসেরা হল তারা। এদিন টসে জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাট করতে পাঠান পাক অধিনায়ক বাবর আজম। পাকিস্তানের পেসারদের সামনে চাপে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। নাসিম শাহের বলে শূন্য রানে আউট হন কুশল মেন্ডিস। রান পাননি পাথুম নিসঙ্ক, দানুষ্ক গুণতিলকাও। দু’জনকেই আউট করেন হ্যারিস রউফ। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে তিন উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। টপ অর্ডার ব্যর্থ হলেও ইনিংসের হাল ধরেন ভানুকা রাজাপক্ষ ও ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গ। দু’জনের মধ্যে ৫৮ রানের জুটি হয়। হারসঙ্গ ৩৬ রান করে আউট হয়ে গেলেও রাজাপক্ষ টিকে থাকেন। ৩৫ বলে অর্ধশতরান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪৫ বলে ৭১ রান করে অপরাজিত থাকেন রাজাপক্ষ। ১৭০ রানে শেষ হয় শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের ইনিংসের শুরুটা মন্দ হয়নি। খেই হারিয়ে ফেলেন শ্রীলঙ্কার পেসার মদুশঙ্ক। কোনও বল না করেই ৯ রান দিয়ে দেন তিনি। প্রথম ওভারে ওঠে ১২ রান। তৃতীয় ওভারেই ম্যাচে ফেরে শ্রীলঙ্কা। পর পর দু’বলে বাবর আজম ও ফখর জামানকে আউট করেন প্রমোদ মদুশন। বাবর পাঁচ রান করেন। ফখর ফেরেন কোনো রান না করেই। দ্রুত দু’উইকেট হারানোর ফলে রানের গতি কমে যায় পাকিস্তানের। এরপর জুটি বাঁধেন মহম্মদ রিজওয়ান ও ইফতিকার আহমেদ। রানের গতি কম হলেও উইকেট দিয়ে আসেননি তাঁরা। ধীরে ধীরে হাত খোলা শুরু করেন ইফতিকার। রিজওয়ান খুচরো রানে ভর করে খেললেও বড় শট মারছিলেন ইফতিকার। হাসরঙ্গকে এক ওভারে একটি ছক্কা ও দু’টি চার মারেন তিনি। প্রতি ওভারে বাড়ছিল আস্কিং রেট। বড় শট খেলা ছাড়া উপায় ছিল না পাকিস্তানের। মদুশনের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ৩২ রানের মাথায় আউট হন ইফতিকার। এক দিকে টিকে ছিলেন রিজওয়ান। আরও একটি অর্ধশতরান করেন তিনি। তাঁর কাঁধেই ছিল দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব। কিন্তু ৫৫ রানের মাথায় হাসরঙ্গকে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন তিনি। ওই একই ওভারে আসিফ আলিকে শূন্য রানে বোল্ড করেন হাসরঙ্গ। ওই ওভারেই আউট হন খুশদিলও। কার্যত ম্যাচের রাশ বেরিয়ে যায় পাকিস্তানের হাত থেকে। সাত উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত ১৪৭ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস। শ্রীলঙ্কার হয়ে মদুশন চার ও হাসরঙ্গ তিন উইকেট নেন। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন ভানুকা রাজাপক্ষ। টুর্নামেন্ট সেরার শিরোপা উঠেছে ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গের মাথায়।