দেশের অ-বিজেপি রাজ্যগুলির প্রতি বারবার প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠেছে মোদী সরকার। অত্যধিকভাবে সক্রিয় হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। ইডি-সিবিআই-এর অতিসক্রিতার বিরুদ্ধে ক্রমাগত সরব হয়েছে দেশের বিরোধী দলগুলি। প্রতিবাদমুখর বাংলার শাসকদল তৃণমূলও এবার সংস্থাগুলির এই ভূমিকার বিরুদ্ধে রাজ্য বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনতে চলেছে তারা। সোমবার পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এ খবর জানিয়ে বলেন, ‘‘ কেন্দ্রীয় সরকারে হাতে থাকা তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাদের মাত্রাতিরিক্তি ব্যবহারে বিরুদ্ধে বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনা হচ্ছে।’’ ইতিমধ্যেই এ নিয়ে নোটিস দিয়েছেন তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ। এই নোটিসের প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির ভূমিকা নিয়ে একটি আলোচনার প্রস্তাব জমা পড়েছে। তা নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা হবে। শাসক-বিরোধী উভয় পক্ষই বলবে। ‘‘রাজ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। সকলকে ভয় দেখানো হচ্ছে। রাত হলেই এর ওর বাড়ি চলে যাচ্ছে’’, জানিয়েছেন বিমানবাবু।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার সংক্ষিপ্ত অধিবেশন। চলবে আগামী ২৩শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। নিয়ম অনুযায়ী অধিবেশন শুরুর আগে সোমবার বিধানসভার কার্য উপদেষ্টা কমিটির একটি বৈঠক হয়। যে বৈঠকে শাসক ও বিরোধী দলের পাশাপাশি উপস্থিত থাকেন বিধানসভার স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার। সেই বৈঠকেই এই প্রস্তাব আনার কথা জানায় তৃণমূল। আগামী ১৯শে সেপ্টেবর প্রস্তাবটি বিধানসভায় পেশ করা হবে। তবে এই বৈঠকে বিরোধী দলগুলির কেউ উপস্থিত ছিলেন না। পরে এই প্রস্তাব প্রসঙ্গে বিজেপির পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা বলেন, ‘‘আমাদের নবান্ন অভিযানের পরেই ঠিক করা হবে ওই আলোচনায় অংশ নেওয়া হবে কিনা।’’ কয়েকদান আগেই নেতাজী ইন্ডোরের একটি সভায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিন্দা প্রস্তাব আনার আগের দিন তৃণমূলের পরিষদীয় দলের তরফে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকে নিন্দা প্রস্তাব আনার দিন ১৯শে সেপ্টেম্বর সব বিধায়কের উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক করা হবে। সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে এমনটাই।