দুরারোগ্য রোগ নিরাময়, টিকা তৈরি থেকে শুরু করে বিকল্প জ্বালানি খোঁজা, পানীয় জলের সমস্যা মেটানো, সব কিছুর জন্যেই গবেষণা আবশ্যক। সেই গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট ডিপার্টমেন্ট।
মোদী সরকারের নীতি আয়োগ বলছে, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট কাজে বিশ্বের উল্লেখযোগ্য দেশগুলির মধ্যে ভারতের স্থান সর্বনিম্ন। গবেষণা এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে রাশিয়া জনপ্রতি ২৮২ মার্কিন ডলার খরচ করে, ব্রাজিল ও মালয়েশিয়ার মতো দেশ যথাক্রমে ১৭৩ ও ২৯৩ মার্কিন ডলার খরচ করলেও, ভারতে ওই খাতে জনপ্রতি বরাদ্দ মোটে ৪৩ মার্কিন ডলার। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, নয়া সংসদ ভবন তথা সেন্ট্রাল ভিস্তা তৈরির জন্যে মোদী সরকারের কাছে টাকা থাকলেও, গবেষণার জন্যে মোদী সরকারের টাকা নেই কেন?
মোদী সরকারের ভাঁড়ে মা ভবানী! তাই রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের কাজের জন্যে এবার বেসরকারি সংস্থার কাছে হাত পাতছে মোদী সরকার। আমেদাবাদে আয়োজিত এক সম্মেলনে বেসরকারি সংস্থাগুলির কাছে বিজেপি সরকার অনুরোধ করছে যাতে তারা সিএসআর খাতের টাকা ভারতের গবেষণার জন্যে খরচ করে। বেসরকারি কোম্পানিগুলির কাছে তাদের সিএসআর খাতের অন্তত ১ শতাংশ দেশের গবেষণায় খরচ করার চাইছে মোদী সরকার।
প্রসঙ্গত, গবেষণা প্রয়োজন কিন্তু তা সত্ত্বেও গবেষণা খাতে বাজেট বরাদ্দ কমিয়ে চলেছে মোদী সরকার। ডিপার্টমেন্ট অব বায়োটেকনোলজির গবেষণা খাতে বাজেট বরাদ্দ বিগত অর্থ বছরের চেয়ে ১৩ শতাংশ কমিয়েছে মোদী সরকার। অথচ ভ্যাকসিনের গবেষণা এবং ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে ডিপার্টমেন্ট অব বায়োটেকনোলজি। তাদেরই গবেষণার অর্থ বরাদ্দ কমালো বিজেপি সরকার!