এবার বিরোধীদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে নেতাজি ইন্ডোর থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে কর্মসংস্থানের পরিসংখ্যান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার উৎকর্ষ বাংলার কর্মসূচিতে তিনি জানান, ‘এমএসএমই সেক্টরে ৯০ লক্ষ ক্ষুদ্র ইউনিট রয়েছে। সেখানে ১ কোটি ৩৬ লক্ষ লোক কাজ করেন। লেদার ইন্ডাস্ট্রিতে ৫ লক্ষ লোক কাজ করছে।’
এ কথা বলতে বলতেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের এই ইউনিটগুলো ১০ লক্ষ স্কুল ড্রেস তৈরি করে। এক সরকারি আধিকারিক মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, ১০ লক্ষ নয়। আড়াই কোটি স্কুল ড্রেস তৈরি করে এমএসএমই ইউনিটগুলি। তারপরেই মমতা বলেন, ‘আড়াই কোটি স্কুল ড্রেস তৈরি করতে কত লোকের কর্মসংস্থান হয়? এতে মানুষের দারিদ্র দূরীকরণ হয়। এভাবে কর্মসংস্থান তৈরি হয়।’
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভিতরে হয়ে গেছে কেউ বুঝতে পারেনি। তার কারণটা কী, এখানে কিছু পলিটিক্যাল পার্টি আছে, আর কিছু মিডিয়া আছে, যারা কিছু একটা গণ্ডগোল হলেই সারাক্ষণ ইঁদুর কামড়েছে, ইঁদুর কামড়েছে বলে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’ তাঁর কথায়, ‘আমি যখন রেল মিনিস্টার ছিলাম, রোজ দেখাত রেলে ইঁদুর ঘুরে বেড়াচ্ছে। এখন কী ঘুরে বেড়াচ্ছে দেখায়?’
এদিন নেতাজি ইন্ডোরের মঞ্চ থেকেই জলপাইগুড়ির রানিনগরে কোকোকোলার একটি কারখানা উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সংস্থার আধিকারিক জানান, ৬৬০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এই কারখানার শ্রমশক্তির ৬৬ শতাংশ মহিলা। মমতার সাফ কথা, ‘বাংলা বিশ্বের সেরা। এ রাজ্যের ছেলেমেয়েরা রাজ্যকে গর্বিত করেছে। গোল একমাত্র বাংলাই দেবে। বাংলাই গোল দেওয়ার ক্ষমতা থাকে।’
তাঁর সংযোজন, ‘বাংলায় ৪৫ হাজার মেয়ে চাকরি পেয়েছে। ই-মেলে চাকরির নিয়োগপত্র চলে যাচ্ছে। ২০০টির বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি হচ্ছে। ক্ষুদ্র শিল্পে ১ কোটি ৩৬ লাখ মানুষ কাজ করছেন। রাজ্যের বাইরে যাওয়ার দরকার নেই। চাকরি আপনার দরজায় এসে আপনাকে ডাকবে। ৩৪ বছরে রাজ্যে শিল্প তছনছ করা হয়েছিল। সেই শিল্প আজ জাগছে। আমরা সব সময় শিল্প বান্ধব। বাইরে গিয়ে কাজ করুন, অল্প সময় থেকে ফিরে আসুন।’