আর দুবছরও বাকি নেই। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছৈ তোড়জোড়। ফের মহাজোটের প্রস্তুতি শুরু করল বিরোধীরা। আগামী ২৫শে সেপ্টেম্বর কি হরিয়ানা থেকেই বিজেপিকে দেশ ছাড়া করার ডাক দিতে চলেছেন তাঁরা? তেমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। ওইদিন ফতেহাবাদে চৌধুরী দেবীলালের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে সম্মান দিবসের সমাবেশ আয়োজিত হবে। সেই সমাবেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দেশের নানা প্রান্তের অ-বিজেপি দলগুলির সর্বোচ্চ নেতানেত্রীদের আহ্বান করা হচ্ছে। বিজেপির বন্ধু হিসেবে পরিচিত নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতা দলকেও নাকি ডাকা হচ্ছে। এই উদ্যোগের কথা প্রকাশ্যে এসেছে গত ৯ই সেপ্টেম্বর।
রাজনীতির কারবারিদের অনুমান, ২৫ তারিখ মহাজোটের একটি প্রাথমিক ঘোষণাও করতে পারেন তারা। গুরুগ্রামের এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সমাজবাদী পার্টির নেতা মুলায়ম সিংহ যাদবের সঙ্গে সম্প্রতি দেখা করেছিলেন আইএনএলডি প্রধান চৌতালা। জানা গিয়েছে, অখিলেশ যাদব, নীতীশ-তেজস্বী জুটি ওই সমাবেশে থাকবেন। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে বলে খবর। ১০ই সেপ্টেম্বর ওমপ্রকাশের পুত্র অভয় চৌতালা জানান, মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক, অকালি সুপ্রিমো প্রকাশ সিং বাদল, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির কে চন্দ্রশেখর রাও, জনতা দলের এইচ ডি দেবগৌড়া, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার হেমন্ত সোরেন, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুখ আবদুল্লাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কংগ্রেসকেও ডাকার কথা ভাবা হচ্ছে। অন্যদিকে এনসিপির কর্মসমিতির বৈঠকে শারদ পাওয়ার বার্তা দিয়েছেন, ২৫ সেপ্টেম্বর হরিয়ানার সমাবেশ থেকেই বিজেপি বিরোধী জোট শুরু হবে। সেই কারণেই সোমবার থেকে বিভিন্ন নেতানেত্রীর সঙ্গে কথা বলতে শুরু করবেন বলেও জানান পাওয়ার। উল্লেখ্য, আগামী লোকসভা ভোটের আগে এনডিএ শিবিরের পরিস্থিতি খুব একটা স্বস্তিদায়ক নয়। একে একে এনডিএ ছাড়ছেন অনেকেই। কাজেই চিন্তা বাড়ছে পদ্মশিবিরের অন্দরেও।