শুরু বিতর্কের ঝড়। এবার দেশের আয়কর বিভাগের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তল্লাশির নামে তথ্য চুরির বিস্ফোরক অভিযোগ তুলল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অক্সফ্যাম। তাদের দাবি, গত ৭ থেকে ৯ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে আয়কর বিভাগের আধিকারিকেরা তাদের দিল্লীর দফতরে প্রায় ৩৫ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়েছেন। সেই সময়ে অক্সফ্যাম-এর বিভিন্ন কর্মসূচী ও অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে কয়েকশো পৃষ্ঠার তথ্য নিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। অক্সফ্যাম ইন্ডিয়ার সার্ভার ও তাদের শীর্ষ পদাধিকারীদের মোবাইল ফোন ক্লোন করে তথ্য নেওয়া হয়েছে। কয়েক দিন আগেই ‘সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ’ এবং আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অক্সফ্যাম-এর দফতরে হানা দিয়েছিলেন আয়কর বিভাগের আধিকারিকেরা। ৭ই সেপ্টেম্বরেই দেশে এই ধরনের ছয়টি সংগঠনের দফতরে আয়কর আধিকারিকেরা পৌঁছন। তাদের হিসাবপত্র, বিদেশ থেকে পাওয়া অর্থের বিষয়ও খতিয়ে দেখা হয়।
প্রসঙ্গত, সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘কোনও ধরনের অন্যায় করিনি। কর্তৃপক্ষের যে কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে আমরা তৈরি।’’ অক্সফ্যাম একটি বিবৃতিতে বলেছে, তারা দেশের আইন মেনে চলছে। এবং শুরু থেকেই সরকারের কাছে তাদের আর্থিক লেনদেনের প্রয়োজনীয় হিসাব দাখিল করেছে। তবে সংগঠনটির দাবি, কোনও কারণ না দেখিয়েই আয়কর বিভাগ এ বার তাদের হিসাব সমীক্ষা করেছে। তবে এই কাজে সংস্থার পক্ষে যাবতীয় সহযোগিতা করা হয়েছে বলেই অক্সফ্যামের দাবি। অক্সফ্যাম জানিয়েছে, এই বছরের জানুয়ারি মাসেই তাদের বিদেশি অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যেরঅডিট হয়েছে। পাশাপাশি, অক্সফ্যামের তরফে বলা হয়েছে, গত আটমাসে তাদের সংগঠনের উপর দিয়ে অনেক ঝড় গিয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বর তাদের সংস্থার ‘ফরেন কনট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট’ সংক্রান্ত লাইসেন্স পুনর্নবীকরণে আপত্তি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তবুও করোনা অতিমারীকালে ভারতের ১৬ টি রাজ্যে কাজ চালিয়ে গিয়েছে তারা।