শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ ধরচুলায় আকাশ ভাঙা বৃষ্টি। সেই জল প্রবল বেগে কালী নদী দিয়ে নেমে আসে পিথোরাগড়ে। জলের তোড়ে ভেঙে পড়ে বহুতল। সেই স্রোতের তোড়ে পিথোরাগড়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে অন্তত ৫০টি বাড়ি। শনিবার দুপুর একটা নাগাদ মেঘ ভাঙা বৃষ্টির খবর পাওয়া যায়। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত এক জনের।টুইটারে পিথোরাগড়ের পুলিশ একটি ভিডিও শেয়ার করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, জলের প্রবল স্রোতে একটি তিনতলা বাড়ি ধসে পড়ছে নদীগর্ভে। নদীর গতিপথের পাশেই খটিলা গ্রামে বিপর্যস্ত বহু বাড়ি।অন্য একটি টুইটে পুলিশ সাধারণ মানুষকে নদীর ধার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে। এই সময় সেতু ব্যবহার না করার কথাও বলা হয়েছে। টুইটে তাদের আবেদন, ‘নদী বিপদসীমা ছুঁয়ে ফেলেছে, আপনাদের অত্যন্ত সাবধানী হয়ে পথ চলার আবেদন করা হচ্ছে। একান্ত প্রয়োজন না হলে সেতু এড়িয়ে চলুন।’
পিথোরাগড়ের জেলাশাসক আশিস চৌহান সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, দুর্যোগে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। বহু বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। পুরোদমে উদ্ধারকাজ শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন। পাহাড়ি রাজ্য উত্তরাখণ্ডে রয়েছে বহু তীর্থস্থান। কিন্তু ইদানীং প্রকৃতি যেন বারে বারেই রুদ্ররূপ ধারণ করছে হিমালয়ের এই প্রান্তে। প্রায় প্রতি বছরই হিমাচল, উত্তরাখণ্ডে এমনই ভয়াবহ মেঘ ভাঙা বৃষ্টি বা ভয়ঙ্কর বন্যার ঘটনা ঘটছে। পাহাড়ে অপরিকল্পিত ভাবে সবুজ ধ্বংস করে কংক্রিটের নির্মাণকাজকে এ জন্য অনেকেই দায়ী করেন। অভিযোগ, তাতেও প্রশাসন কিংবা মানুষ— কারওরই হেলদোল নেই।