অবশেষে সমস্ত অপেক্ষার অবসান। শতরান করেছেন কোহলি। তারপর বেশ ফুরফুরে মেজাজেই রয়েছেন তিনি। ভারত-আফগানিস্তান ম্যাচের পর কোহলির কাছে বিশেষ আবদার করেন পাকিস্তানের এক ক্রিকেটপ্রেমী। শতরানের পর ফুরফুরে মেজাজে থাকা কোহলি হাসি মুখেই মেটান তাঁর আবদার। দেন বিশেষ উপহার। শতরান পাচ্ছিলেন না বিরাট কোহলি। চাপে ছিলেন খানিকটা। তাঁর থেকেও বোধ হয় বেশি চাপে ছিলেন তাঁর অসংখ্য অনুরাগী। বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ১০২০ দিন পর কোহলি শতরান করতেই উচ্ছ্বাসের বাধ ভাঙে ভক্তদের। তবে সব থেকে খুশি হয়েছেন কোহলির এক পাকিস্তানি ভক্ত। যিনি ম্যাচের পর পেয়েছেন কোহলির সই। পাকিস্তানের ওই ক্রিকেটপ্রেমী ক্রিকেট ব্যাটে ক্রিকেটারদের সই সংগ্রহ করেন। গত ন’বছর ধরে ক্রিকেটারদের সই সংগ্রহ করছেন তিনি। ইমরান খান, শাহিদ আফ্রিদি, বীরেন্দ্র সহবাগ, যুবরাজ সিংহদের সই করা ব্যাট রয়েছে তাঁর সংগ্রহে। বৃহস্পতিবার ম্যাচের পর একটি ব্যাটে কোহলীর সই সংগ্রহ করেছেন তিনি। জানিয়েছেন কোটি টাকা দিলেও কোহলির সই করা ব্যাট বিক্রি করবেন না। আজীবন নিজের কাছেই রেখে দেবেন ব্যাটটি।
এক সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেন কোহলির ব্যাট নিয়ে কী করবেন? উত্তরে পাক ক্রিকেটপ্রেমী বলেছেন, ‘‘আমার হাতের এই ব্যাটটায় কোহলি ভাই সই করে দিয়েছেন। বলতে পারেন উনি আমাকে এটা উপহার দিয়েছেন। এত দিন পর শতরান করলেন। তার পর আমাকে ব্যাটে সই করে দিলেন। ভারত এখন আর আমিরশাহিতে খেলবে না। এ বারের মতো শেষ ম্যাচ ছিল বিরাট ভাইয়ের। তাই নিজেকে ভীষণ ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। আমি বিরাট ভাইকে শুধু একটা অনুরোধ করেছিলাম। হাসি মুখে আমার অনুরোধ রেখেছেন তিনি।’’ তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, কোনও দিন এই ব্যাটটা কি আপনি বিক্রি করবেন? উত্তরে পাক ক্রিকেটপ্রেমী বলেছেন, ‘‘পাশেই এক জন দাঁড়িয়ে ছিলেন। আমি তাঁকে চিনি না। কোহলি ভাই সই করে দেওয়ার পরেই ব্যাটটা উনি কিনতে চেয়েছিলেন। ৫ হাজার দিরহাম (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১ লক্ষ ৮ হাজার টাকা) পর্যন্ত দিতে রাজি ছিলেন তিনি। কিন্তু এই ব্যাটটা আমি বিক্রি করতে পারব না। কেউ যদি পাঁচ লাখ দিরহামও (১ কোটি টাকা) দেয়, তা হলেও আমি এই ব্যাট বিক্রি করব না।’’ কত জন ক্রিকেটারে সই করা ব্যাট রয়েছে তাঁর কাছে তাও জানিয়েছেন। পাক ক্রিকেটপ্রেমী বলেছেন, ‘‘গত আট-নয় বছর ধরে ক্রিকেটারদের সই সংগ্রহ করছি। দেড়শোর বেশি ক্রিকেটারের সই করা ব্যাট রয়েছে আমার কাছে। কোহলি ভাইয়ের সই করা ব্যাটটাই সেরা সংগ্রহ আমার।’’