তৃতীয়বার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরই রাজ্যে কর্মসংস্থান নিয়ে উদ্যোগী হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ১০ হাজার যুবক-যুবতীর সরাসরি নিয়োগপত্র তুলে দিতে চলেছে রাজ্য। গত ৮ই সেপ্টেম্বর দলীয় কর্মসূচীর মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, আগামী ১২ই সেপ্টেম্বর নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ১০ হাজার যুবক-যুবতীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন তিনি। উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এমন যুবক-যুবতীদের মধ্যে থেকে ১০ হাজার জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। আগামীদিনে বাংলায় আরও কর্মসংস্থান হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফের জেলা সফরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, এরপর উত্তরবঙ্গে কর্মসূচী হবে। দক্ষিণবঙ্গেও দুটি অনুষ্ঠান হবে। আগামী ১৪ই সেপ্টেম্বর পূর্ব মেদিনীপুরের নিমতৌড়িতে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। দীঘায় সৈকত সরণি, ময়না ব্রিজ, দীঘা সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পসহ একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন, শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সব মিলিয়ে প্রায় ৬৫০-৭০০ কোটি টাকার প্রকল্পের উপহার পেতে চলেছে পূর্ব মেদিনীপুরের অধিবাসীরা।
পাশাপাশি, এদিন নেতাজী ইন্ডোরে দলের সভা থেকে মন্ত্রী-বিধায়কদের উদ্দেশ্যে একাধিক বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রী-বিধায়কদের সামনাসামনি কথা বলার নিদান দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘ফেসটাইম’ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। জনপ্রতিনিধিদের বাংলার বাড়ি প্রকল্পে নজর দেওয়ার কথা বলেছেন মমতা। এবছর বাংলার বাড়ি যাতে সকলে পায়, সেই জন্যে সাংসদ, বিধায়কদের টাকা বরাদ্দ করার কথা বলেন মমতা। কারণ মোদী সরকার বাংলাকে লাগাতার বঞ্চিত করছে, সেই বঞ্চনার অংশ হিসেবে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা বন্ধ করেছে মোদী সরকার। বাংলার পাওনা এক লক্ষ কোটি টাকাও দিচ্ছেন না মোদী সরকার। মমতা জানান, মোদী সরকারের বঞ্চনার কারণে ৫০ লক্ষ মানুষের বাড়ির আবেদনপত্র পড়ে রয়েছে। তাই সমাধানের জন্যে লোকসভার সাংসদ এবং এমএলএ ল্যাডের টাকা এবছর নিজ নিজ এলাকার বাংলা বাড়ি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।