গত ফেব্রুয়ারি মাসেই তাঁরা প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে চিঠি দিয়ে আর্জি জানান, স্বাধীনতা দিবস কিংবা সাধারণতন্ত্র দিবসে তাঁদের হাতে যেন পদকটি তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু ২০১৭ সালে কাশ্মীরে পোস্টেড থাকার সময় দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে শহিদ হওয়া ল্যান্স নায়েক গোপাল সিংয়ের পরিবারের সেই অনুরোধ রাখা হয়নি। বদলে শহিদ সেনার মরণোত্তর সম্মান বাড়ি এসে পৌঁছেছে কুরিয়ার মারফত! আর এর ফলেই এবার সেই সম্মান ফিরিয়ে দিলেন ক্ষুব্ধ বাবা-মা।
প্রসঙ্গত, অসমসাহসিকতার জন্য দেশে যে সমস্ত সম্মান দেওয়া হয় তার মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ সম্মান শৌর্য চক্র। গুজরাতের বাসিন্দা ল্যান্স নায়েক গোপাল সিং এই সম্মান পেয়েছেন। ২০১৭ সালে কাশ্মীরে নিযুক্ত থাকার সময় শহিদ হন তিনি। ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার সময়ও সাহসিকতা ও কৃতিত্বের জন্য বিশিষ্ট সেনা মেডেলে সম্মানিত হয়েছিলেন গোপাল সিং। শহিদ হয়ে মরণোত্তর শৌর্য চক্র পেয়েছেন তিনি। গোপাল সিংয়ের মৃত্যুর পর তাঁর বিবাহবিচ্ছিন্না স্ত্রী স্বামীর সমস্ত সম্পত্তি ও মৃত্যু পরবর্তী সুবিধা হাতিয়ে নিতে চান বলে অভিযোগ।
শহিদ সেনার বাবা-মায়ের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে দ্বন্দ্ব আদালতেও পৌঁছায়। বিষয়টি নিয়ে মামলা চলতে থাকায় শৌর্য চক্রের মেডেল কার হাতে পৌঁছবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত হয়ে থাকে। গত সেপ্টেম্বরে শহিদ জওয়ানের সমস্ত সম্মান তাঁর বাবা মায়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। এরপরই শহিদ গোপাল সিংয়ের বাবা মুকিম সিং ভাদোরিয়ার বাপুনগরের বাড়িতে এসে গত সোমবার পৌঁছায় ছেলের শৌর্য চক্র পদকটি। তবে কুরিয়ারে।
তাঁরা সেই পদক নিতে অস্বীকার করে ফিরিয়ে দেন এবং গোটা বিষয়টিতে রাষ্ট্রপতি ভবনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। মুকিম সিং জানান, গত ফেব্রুয়ারি মাসেই তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে চিঠি দিয়ে আর্জি জানান, স্বাধীনতা দিবস কিংবা সাধারণতন্ত্র দিবসে তাঁর হাতে যেন পদকটি তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁর সেই অনুরোধ রাখা হয়নি বলে অভিযোগ সন্তানহারা পিতার।