শতরানে ফিরলেও অভিমান একটুও কমেনি বিরাট কোহলির। তিনি জানিয়েছেন, খারাপ সময়ে অনেকে তাঁকে পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর মনের মধ্যে কী চলছে সেটা কেউ বুঝতে পারেননি। দীর্ঘদিন পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শতরান বিরাট কোহলির। হয়েছেন ম্যাচের সেরা। কিন্তু ছন্দে ফিরেও অভিমান যাচ্ছে না বিরাট কোহলির। খারাপ সময়ে তাঁর মনের মধ্যে কী হচ্ছিল সেটা যে বাইরের কেউ বুঝতে পারেননি সে কথা আবার এক বার জানিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। তাঁর মনের অবস্থা না বুঝেই সবাই তাঁকে পরামর্শ দিচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। আফগানিস্তানকে হারিয়ে ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে কোহলি বলেন, ‘‘আমাকে অনেকে পরামর্শ দিচ্ছিল। অনেক উপদেশ শুনতে পাচ্ছিলাম। সবাই বলছিল, আমি এখানে ভুল করছি, ওখানে ভুল করছি। আমি কাউকে বোঝাতে পারছিলাম না আমার মনের মধ্যে কী চলছে। মানুষ আপনাকে উপদেশ দেবে। কিন্তু আপনার মনের কথা কেউ বুঝতে পারবে না।’’ দীর্ঘ দিন শতরান না পেলেও কোহলি যে একেবারেই রান করতে পারেননি তা নয়। কিন্তু বড় রান আসছিল না। সমালোচনা বাড়ছিল। কিন্তু তিনি জানতেন, ঠিক রানে ফিরবেন।
অভিমানের সুরে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, ‘‘৬০ রান করলেও সবাই বলছিল ব্যর্থ হয়েছি। খুব অবাক লাগত। কিন্তু কিছু করার ছিল না। নিজেকে বুঝিয়েছি। শূন্য থেকে শুরু করেছি।’’ মাঝের কয়েকটি মাসে বেশ কয়েক বার ক্রিকেট থেকে বিশ্রাম নিয়েছেন কোহলি। নিজেই জানিয়েছেন, এক মাস ব্যাট ছুঁয়ে দেখেননি। কিন্তু দলে ফেরার পরে সবার কাছ থেকে সমর্থন পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কোহলি বলেন, ‘‘দলে ফেরার পরে সবাই আমাকে সমর্থন করেছে। সাজঘরের পরিবেশ খুব ভাল ছিল। কেউ আমাকে বাড়তি কোনও পরামর্শ দিতে যায়নি। সবাই খালি বলেছে, মাঠে নেমে ব্যাট করতে। সেটাই করেছি।’’ এশিয়া কাপে এর আগে দু’টি অর্ধশতরান করেছিলেন কোহলি। সেটা ছিল ঝলক। আসল ছবি দেখা গেল আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। নিজের ব্যাটিং দেখে নিজেই খানিকটা অবাক হয়ে গিয়েছেন কোহলি। তিনি বলেন, ‘‘আমি বুঝতে পারছিলাম ধীরে ধীরে রানের মধ্যে ফিরছি। কিন্তু আজ যেভাবে ব্যাট করেছি সেটা দেখে আমি নিজেই অবাক হয়ে গিয়েছি।’’