বাগুইআটি জোড়া খুনের ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। বাগুইআটি থানার আইসিকে ক্লোজ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছেন যাতে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া যায়।
বুধবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বাগুইআটির আমরা শোকপ্রকাশ করছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও খোঁজ খবর নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, দোষীরা যেন অবশ্যই শাস্তি পায়। আর তাই এই ঘটনায় সিআইডি-র উপর তদন্তভার দেওয়া হচ্ছে’। পাশাপাশি বাগুইআটি থানার আইসিকেও ক্লোজ করা হয়েছে বলে খবর।
ফিরহাদ হাকিম এ দিন বলেন, ‘আইসি-র আরও তৎপর হওয়া উচিত ছিল, পুলিশের সক্রিয় হওয়া উচিত ছিল৷ প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, এমন কি সিআইডি-র সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল৷ আইসি-কে ক্লোজ করা হল, সিআইডি এই তদন্ত করবে৷ মুখ্যমন্ত্রী খুবই দুঃখ পেয়েছেন, তিনি অত্যন্ত বেদনার মধ্যে আছেনষ৷ দুটো বাচ্চা ছেলের সঙ্গে এরকম হল৷ এই দুঃখের সময় আমরা পরিবারের পাশে আছি৷ দোষীদের সবাইকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে৷ কাউকে ছাড়া হবে না৷ মুখ্যমন্ত্রী ডিজি-কে এই নির্দেশ দিয়েছেন৷’
গত ২২ আগস্ট বাগুইআটি থেকে অপহূত হয় অতনু দে এবং অভিষেক নস্কর৷ ওই দিন রাতেই তাদের খুন করে দুষ্কৃতীরা৷ অথচ প্রায় দু’ সপ্তাহ ধরে দুই ছাত্রের দেহ বসিরহাটের পুলিশ মর্গে পড়ে থাকলেও সেই খবর পায়নি বাগুইআটি থানার পুলিশ৷ শেষ পর্যন্ত, গতকাল দুই ছাত্রের খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে৷ এই ঘটনায় এখনও ফেরার মূল অভিযুক্ত সতেন্দ্র চৌধুরী৷