টালা ব্রিজ কবে চালু হতে পারে সেই নিয়ে চলেছে জোর আলোচনা। এবার এল সুখবর। পুজোর আগেই চালু হয়ে যাবে টালা ব্রিজ। পুজোর পরেই ভাঙা শুরু হয়ে যেতে পারে কাশীপুর রেল ওভারব্রিজ। চিৎপুর লকগেট ব্রিজের পাশে কাশীপুর রোডের ওপর এই রেল ওভারব্রিজ। রেল ওভারব্রিজ জরাজীর্ণ, ভেঙেছে সেতুর পাশের রেলিং, দুর্বল কাঠামো। সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত। টালা ব্রিজের মতোই, এবার, চিত্পুর-কাশীপুর রেল ওভারব্রিজ ভেঙে ফেলে, নতুন করে তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। স্থানীয় বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে পুরসভা। নিচে দিয়ে গিয়েছে রেলের লাইন। ফলে রেলের সঙ্গেও এই বিষয়ে কথা বলেছে রাজ্য সরকার। মহালয়ার আগের দিন টালা ব্রিজ চালুর ভাবনা সরকারের। তবে, এই ব্রিজটি চালুর পরই, ভাঙা হতে পারে, উত্তর কলকাতার আরেকটি সেতু। চিত্পুর লকগেট ব্রিজের পাশে, কাশীপুর রোডের ওপর এই রেল ওভারব্রিজকেই ভেঙে ফেলে নতুন করে তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। সেতুটির অবস্থা জরাজীর্ণ। ভেঙে পড়েছে পাশের রেলিং। কাঠামোও দুর্বল হয়ে পড়েছে। টালা সেতু ভেঙে ফেলার সময়ে ও তার আগে দু’দফা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় এই সেতুর।
সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা রিপোর্টে এর হাল নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, টালার মতোই, পুরো ভেঙে ফেলে, নতুন করে বানানো হবে রেলের এই ওভারব্রিজটিকে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, ব্রিজটি রেল তৈরি করলেও, তা ভেঙে ফেলে নতুন করে তৈরি করবে কেএমডিএ। এ নিয়ে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসে পুরসভা। বৈঠকে ছিলেন পূর্ব রেলের প্রতিনিধিরাও। কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, টালা ব্রিজ চালু হয়ে গেলেই এটা ভেঙে ফেলা হবে। তেমন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। কাশীপুর পুরনো রেল সেতুর নিচে কয়েকশো মানুষের বাস। যাঁদের মাথার ওপর ছাদ বলতে এই সেতুই। ব্রিজ ভাঙার সময়ে পুনর্বাসন দিতে হবে এদের। এই বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানো ও পুনর্বাসন নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। যদিও মেয়র জানিয়েছেন, পুনর্বাসন দিয়েই, তারপর কাজ শুরু হবে। তবে নয়া সেতু তৈরি করতে গেলে খরচ বহু টাকার৷ রাজ্য বরাবর তাদের আর্থিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। এই অবস্থায় নয়া সেতু বানানোর পুরো খরচ রাজ্য একাই বহন করবে না রেলও টাকা দেবে তা নিয়ে আলোচনা চলবে।