একের পর এক নির্বাচনে হার তো জুটছেই। পাশাপাশি দলের সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বহুদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছে কংগ্রেসের অন্দরে। এরই মধ্যে দল ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন একের পর এক হেভিওয়েট নেতা। সবমিলিয়ে ঘরে বাইরে সমস্যায় জর্জরিত শতাব্দী প্রাচীন দল। এদিকে এই পরিস্থিতিতেই চলতি ও আগামী বছর গুজরাত, তেলঙ্গানা, কর্ণাটক, হিমাচল প্রদেশ ও ত্রিপুরা-সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তাই তার আগে দলের রাশ তুলে নিতে রাহুল গান্ধীকে সভাপতি করার কৌশল নিল কংগ্রেসের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী। দলের দায়িত্ব বিক্ষুব্ধগোষ্ঠীর কোনও নেতার কাছে যাক, তা চাইছেন না গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিতরা। তাই সম্মিলিতভাবে সভাপতি হওয়ার জন্য চাপ দেওয়ার পাশাপাশি সব প্রদেশের তরফেও রাহুলকে অনুরোধ জানানোর কৌশল নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, আজ তামিলনাড়ুতে ভারত জোড়ো যাত্রার সূচনা করবেন রাহুল। আশা করা হচ্ছে, ভারত জোড়ো যাত্রা শেষ হওয়ার আগেই দেশে ফিরবেন সোনিয়া গান্ধী। তিনি ফিরলেই রাহুলকে সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ নিয়ে সোনিয়ার দ্বারস্থ হবেন রাজ্যসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, সাংসদ জয়রাম রমেশ, অজয় মাকেন, সাধারণ সম্পাদক কে সি বেনুগোপালের মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতারা। প্রত্যেকটি রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেসের তরফেও যাতে একই অনুরোধ আসে, সেই উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। এছাড়া সোনিয়া ও রাহুলের ঘনিষ্ঠ এআইসিসি এবং প্রদেশ কংগ্রেস সদস্যরাও যাতে ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ জানান, তেমন উদ্যোগও নেওয়া হবে বলে খবর। উল্লেখ্য, ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র মধ্যে দলের সভাপতি নির্বাচন ঘোষণা হওয়ায় গোষ্ঠীকোন্দল নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে। দলত্যাগ করেছেন গুলাম নবি আজাদের মতো প্রবীণ ও অভিজ্ঞ নেতা। আবার সভাপতি নির্বাচনে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন থারুর। ফলে পালটা নড়াচড়া শুরু করেছে গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ নেতারা।