এই নিয়ে পরপর দু’ বছর রাজ্যে সেরা জেলা হাসপাতালের তকমা পেল টালিগঞ্জের এম আর বাঙুর হাসপাতাল। স্বাস্থ্য পরিষেবার উৎকর্ষতায় কেন্দ্র এবং রাজ্য যৌথ প্রকল্প সুশ্রী – কায়াকল্পে নয়া এই পালক উঠলো এম আর বাঙ্গুরের মুকুটে। এবারের ফলাফলে এম আর বাঙুরের সঙ্গে যৌথভাবে সেরা শিরোপা পেয়েছে এই রাজ্যেরই উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালও। ১০০ শতাংশ নম্বরের মধ্যে এই দু’টি হাসপাতালই ৯২.৪৩ শতাংশ নম্বর ঝুলিতে তুলেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত ২০২১ এবং ২০২২ সালের রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে।
সুষ্ঠু পরিষেবা বজায় রাখা, স্বাস্থ্যবিধি ও পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা, সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মতো সাপোর্ট সার্ভিস সহ মোট আটটি বিষয়ের উপর রাজ্যের সব স্তরের সরকারি হাসপাতাল এই প্রকল্পে অংশ নিয়েছিল। রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ গুলি বাদ দিয়ে প্রাথমিকভাবে রাজ্যের ১,০২৫ টি হাসপাতাল সুশ্রী – কায়াকল্পে অংশ নেয়। বাছাইয়ের পর মোট ৯৫৪ টি হাসপাতালের পরিকাঠামো পরিদর্শন করে বিশেষ প্রতিনিধি দল।
পুরনো আটটি বিষয় পাশাপাশি এই বছর থেকে ‘সেরা পরিবেশ বান্ধব হাসপাতাল’ যুক্ত করা হয়েছিল বাছাই পর্বে। রাজ্যের সেরা পরিবেশ বান্ধব জেলা হাসপাতাল হিসেবে যৌথভাবে মনোনীত হয়েছে যথাক্রমে শিলিগুড়ি ও সিউড়ি জেলা হাসপাতাল।
পরপর দু’ বছর সেরা হয়ে এম আর বাঙুর যেমন তাক লাগিয়েছে, তেমনই সুশ্রী-কায়াকল্প এবং সেরা পরিবেশবান্ধব হাসপাতাল— একইসঙ্গে দু’টি ক্যাটিগরিতে প্রথম হয়ে সর্বাধিক পুরস্কার জিতেছে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল। তারা পেয়েছে ৩০ লক্ষ টাকা। পুরস্কার মূল্যের বিচারে দ্বিতীয় হয়েছে এম আর বাঙুর। তারা জিতে নিয়েছে ২৫ লক্ষ টাকা।
সেরা গ্রামীণ হাসপাতাল, ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ক্যাটিগরিতে সুশ্রী – কায়াকল্প পুরস্কার জিতেছে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতাল। পূর্ব বর্ধমান জেলার এই হাসপাতাল সেরা পরিবেশবান্ধব গ্রামীণ হাসপাতালেরও তকমা পেয়েছে। দু’টি ক্ষেত্রেই সেরা হয়ে তারা পেয়েছেন ২০ লক্ষ টাকার পুরস্কার।পরপর দু বার সেরার স্বীকৃতি পেয়ে বাঙুরের সুপার চিকিৎসক শিশির নস্কর জানান, চিকিৎসক, নার্স থেকে স্বাস্থ্য কর্মী সবাই ভালো কাজ করে যাচ্ছেন অক্লান্ত ভাবে। পুরস্কারের জন্য কাজ নয়, ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবেই পুরস্কার এসেছে’।