গতকালই ৮৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তার পর পরই প্রাথমিকের নিয়োগ নিয়ে তৎপরতা রাজ্যের। রাজ্যে কত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের শূন্যপদ রয়েছে, রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের থেকে জানতে চাইল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ৷ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চিঠি পেয়ে তৎপর রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর।
প্রতিটি জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল পরিদর্শকদের শূন্য পদের তালিকা দ্রুত পাঠাতে বলা হয়েছে বলেই স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর। এই মুহূর্তে রাজ্যের হাতে প্রাথমিকের শূন্যপদ সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি রয়েছে। সেই সংখ্যা দ্বিগুন থেকে তিনগুন বাড়তে পারে বলেই মত স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর বিকেল পাঁচটা থেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অন্তর্বর্তী কমিটির বৈঠক রয়েছে। তার আগেই এই তথ্য পেতে মরিয়া প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ইতিমধ্যেই যাঁরা টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন৷ শূন্য পদের নির্দিষ্ট তালিকা হাতে পেলেই দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে পর্ষদ৷
প্রসঙ্গত গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, আরও ৮৯ হাজার স্কুল শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার৷ তার মধ্যেই প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার খবরে স্কুল শিক্ষক পদে চাকরিপ্রার্থীদের সামনে নতুন আশার আলো৷
মানিক ভট্টাচার্যের অপসারণের পর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই গৌতম পাল জানিয়েছিলেন, পুজোর পরেই নতুন করে টেট নেওয়ার চেষ্টা চলছে৷ প্রতি বছরই টেট নেওয়া হবে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি৷ শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে প্রাথমিক সহ বিভিন্ন স্তরে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তার পর স্বচ্ছ ভাবে বিপুল নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে রাজ্য সরকার এবং পর্ষদের ভাবমূর্তি উদ্ধার হবে বলেই মত সরকারি কর্তাদের৷