সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর তার আগে ঢেলে সাজছে তৃণমূলের সংগঠন। ইতিমধ্যেই একাধিক জেলা সংগঠনে ঢালাও রদবদল করেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার নন্দীগ্রাম ১ ও ২ নম্বর ব্লকেও সংগঠন ঢেলে সাজাল তৃণমূল। ব্যাপক রদলবদল ঘটল কাঁথিতেও। বাদ গেল না তমলুকও।
প্রসঙ্গত, বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট। দলের সংগঠনকে মজবুত করার লক্ষ্যে মাঠে নেমেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত মাসে শেষের দিকে ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সূ্ত্রের খবর, জেলা নেতৃত্বকে তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, দু’চারটে আসনে হারলেও জরবদস্তি করে জেতা যাবে না। প্রার্থী নির্বাচনে স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
সেই বৈঠকের পরই সাংগঠনিক রদবদল ঘটল নন্দীগ্রাম, কাঁথি ও তমলুকে। সূত্রের খবর, তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলায় ১৪ টি ব্লক, কাঁথিতে ১৬টি। তমলুক সাংগঠনিক জেলার মধ্যেই পড়ে নন্দীগ্রাম ১ ও ২ নম্বর ব্লক। স্রেফ নন্দীগ্রাম নয়, তমলুক সাংগঠনিক জেলার ১১টি ব্লকের সভাপতি বদল করা হয়েছে। আর কাঁথিতে নয়া ব্লক সভাপতি হয়েছেন ৮ জন। একুশের বিধানসভা ভোটে যেসব জায়গায় খারাপ ফল হয়েছিল ঘাসফুল শিবিরের, সেইসব জায়গাতেই সাংগঠনিক বদল ঘটল।