বেশ কিছুদিম ধরেই রাজনৈতিক মহলে এই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে যে এনপিপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে বিজেপির। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই মেঘালয়ে পায়ের তলার মাটি আরও শক্ত করছে তৃণমূল। একুশে ফের বাংলা জয়ের পর থেকেই উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে সংগঠন মজবুত করতে উদ্যোগী হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের ১২ জন বিধায়ক তৃণমূলে যোগদান করায় এখন মেঘালয় বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল তৃণমূলই। আগামী বছর মেঘালয় বিধানসভার নির্বাচনেও অংশ নেবে বাংলার শাসক দল।
রাজনৈতিক মহলের মতে, মেঘালয়ের সমস্যাকে দিল্লীর দরবার পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়ায় মেঘালয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল। তাই বিধায়ক-সাংসদদের নিয়ে জাতীয় স্তরে মেঘালয়ের সমস্যাকে তুলে ধরছে তৃণমূল।ইতিমধ্যেই মেঘালয়ে গিয়েছেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়৷ দলীয় কার্যালয়ও চালু হয়েছে সেখানে। মেঘালয়ের বিশ্বাস জিততে অভিষেক আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, ‘মেঘালয় দিল্লী বা গুজরাতের সামনে মাথা নিচু করবে না। উত্তর পূর্ব ভারত ভগবানের, শান্তির, সম্প্রীতির। বিজেপির একাধিক বড় বড় নেতা এসেছিল বাংলায়। আমরা তাঁদের জায়গা কোথায় তা দেখিয়ে দিয়েছি।’
তিনি এ কথাও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তৃণমূল জিতলেও মেঘালয়কে বাংলা শাসন করবে না। রাজ্যের অধিবাসী খাসি, গারো, জয়ন্তিয়ারাই মতো জনজাতির প্রতিনিধিরাই দায়িত্বে থাকবেন৷ কারণ মুকুল সাংমা সহ বিধায়করা এখানেরই স্থানীয় বাসিন্দা। অভিষেক এ-ও বলেছিলেন, ‘এটা একমাত্র রাজ্য যেখানে কংগ্রেস-বিজেপিকে, বিজেপি-কংগ্রেসকে সমর্থন করে। আমি মুকুল সাংমাকে ধন্যবাদ দেব যে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। তৃণমূলকে বেছে নিয়েছেন। আমার অনুরোধ, বিজেপিকে ওদের পথ দেখিয়ে দিন। সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে সেই পূর্ব দিক থেকেই।’