হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় একটি মিছিল করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভা থেকে বিভিন্ন পদে চাকরির ক্ষেত্রে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে সরব হন তিনি। হাওড়া গ্রামীণ জেলার নেতা থেকে মন্ত্রী সবাইকে একহাত নেন। উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজার বিরুদ্ধেও সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বিধায়ক গাঁজার মিথ্যে মামলা দিয়ে বিরোধীদের দমিয়ে রেখেছেন বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘আপনার সময় ঘনিয়ে এসেছে’। এ প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলকেও জেলে যেতে হয়েছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান ও বিধায়কের বাড়িতে গেলেও টাকা মিলবে বলে অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা। তার পাল্টা হিসেবে শুভেন্দুর দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন সমীরবাবু। অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে বিধায়ক পদ ছেড়ে দেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শুভেন্দুর কটাক্ষের জবাবে সমীর পাঁজা বলেন, ‘শুভেন্দুবাবুর মনে হয় মতিভ্রম হয়েছে। তাঁর কাছে আমার চ্যালেঞ্জ রইল ২০২১-এর মে মাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। ২০১১ সাল থেক ২০২২ পর্যন্ত উদয়নারায়ণপুর থানায় কোনও গাঁজা কেস হয়েছে কিনা বা কোনও বিজেপি কর্মীকে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে কিনা তার তথ্য প্রমাণ দিতে পারলে আমি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিধায়ক পদ ছেড়ে দেব’।
এছাড়া হাওড়া সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চাকরি নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায় এবং উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘আপনার থেকে বড় মস্তান অনুব্রত। সে এখন নেই। সমীর পাঁজা আপনার সময় ঘনিয়ে এসেছে। রাজ্যে যে ৭৫ হাজার চাকরি হয়েছে তার মধ্যে ৫০ হাজার চাকরি তৃণমূল নেতারা বিক্রি করেছেন’। এমনকী, সমীরবাবু নিজের ছেলের চাকরিও সেই ব্যাঙ্কে করিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু। এর পাল্টা শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন সমীরবাবু। তিনি বলেন, ‘শুভেন্দুবাবু ২০১৫ সালে মেদিনীপুরের একটি সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ছিলেন। সেই সময় তিনি যেভাবে লোক নিয়োগ করেছিলেন সেভাবে আপনাকে অনুকরণ ও অনুসরণ করে সমলায়ের ১৩৪-এর সি ধারায় বলা আছে যে বোর্ড লোক নিয়োগ করতে পারে। যদিও এই নির্বাচন কমিটির সদস্য ছিলাম না আমরা। আমরা তখনই পদত্যাগ করেছিলাম। এটাও যদি আপনি প্রমাণ করতে পারেন তাহলে আমাকে যা শাস্তি দেবেন তা মাথা পেতে নেব’।