যোগীর খাসতালুকে একাধিক মুসলিম ওয়ার্ডের নাম পরিবর্তন। আরও একবার নাম পরিবর্তন করতে চলেছে বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকার। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের এলাকা গোরক্ষপুর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন একটি খসড়া ডিলিমিটেশন অর্ডার জারি করে প্রায় এক ডজন ওয়ার্ডের ‘মুসলিম-যুক্ত নাম’ পরিবর্তন করতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেস। গোরক্ষপুর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে আওতায় ৩২টি গ্রাম অন্তর্ভুক্ত করার পর, ওয়ার্ডের সংখ্যা ৭০ থেকে ৮০ হয়েছে। নতুন দশটি ওয়ার্ডের পাশাপাশি পুরনো ৪০টি ওয়ার্ডের নতুন নামকরণ করা হয়েছে। অর্থাৎ পৌর কর্পোরেশনের ৮০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫০টি নতুন নামে পরিচিত হবে। তবে এর মধ্যে বিশিষ্ট আইকনিক ব্যক্তিত্ব এবং স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম আছে কিন্তু মুসলিম সম্পর্কিত নাম পাল্টে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেসের নেতারা। সমাজবাদী পার্টির নেতা এবং ইসমাইলপুরের কর্পোরেটর শাহাব আনসারি অভিযোগ করে বলেন, নাম পরিবর্তন করা ধর্মীয় মেরুকরণের একটি প্রচেষ্টা।
তবে শাহাব আনাসারির দাবি অস্বীকার করেম মেয়র সীতারাম জয়সওয়াল। তিনি বলেন, নতুন নাম গর্বের অনুভূতি জাগিয়ে তোলে। মেয়র আরও বলেন, শিব সিং চেত্রী, বাবা গম্ভীর নাথ, বাবা রাঘবদাস, ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ এবং মদনমোহন মালব্যের মতো ব্যক্তিত্বদের নামে ওয়ার্ডগুলির নামকরণ করা হয়েছে। নাম পরিবর্তন করে শুধু হিন্দু নাম রাখা হয়েছে তেমন তো নয়। মুসলিম আইকনদের নামও তো রয়েছে। যেমন তুর্কমানপুরের নাম বদল করে রাখা হয়েছে আশফাকুল্লা খান। তবে যেসব নাম পরিবর্তন করা হয়েছে তার মধ্যে মুফতিপুর ওয়ার্ডকে করা হচ্ছে ঘণ্টাঘর, আলিনগরকে আর্যনগর, শেখপুরকে গীতা প্রেস, রসুলপুরকে মহারানা প্রতাপ, ইলাহিবাগকে বন্ধু সিং ওয়ার্ড, জাফরাবাজারকে আত্মরাম নগর, মির্জাপুরকে শিবনগর, চাকসা হুসেনকে সন্ত ঝুলে লালনগরের বাম পরিবর্তন উল্লেখযোগ্য। এই নামগুলি নিয়ে আপত্তি জানানোর জন্য এক সপ্তাহ সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, মোট ২৪ টি ওয়ার্ডের নাম মহান মানুষদের নামে রাখা হয়েছে। গোরক্ষপুরে আগে ৭০ টি ওয়ার্ড ছিল এখন সেখানে ৮০টি ওয়ার্ড রয়েছে। ২০১১ সালের সর্ব শেষ আদমশুমারী অনুযায়ী এক একটি ওয়ার্ডের জনসংখ্যা কমবেশি ১১০০০ বলে জানা যাচ্ছে।