হাফপ্যান্ট পরে আসা যাবে না ব্যাংকে। এমনই নিদান দিলেন উত্তরপ্রদেশের একটি ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার। অর্চনা কুমারী নামের ওই ম্যানেজারের এহেন নির্দেশ ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, কী করে ব্যাংকে আসার জন্য নির্দিষ্ট পোশাক বিধি নির্ধারণ করে দিতে পারেন তিনি? গত ২৬ আগস্ট যোগীরাজ্যের বাঘপতের কানাড়া ব্যাংকের একটি শাখার দরজায় একটি নোটিস ঝুলতে দেখা যায়। তাতে পরিষ্কার বলা আছে, হাফপ্যান্ট পরে ব্যাংকে আসা যাবে না। কিন্তু কেন এমন নির্দেশ? অর্চনা জানিয়েছেন, তাঁর ব্যাংকে পুরুষ গ্রাহকরা হাফপ্যান্ট পরে এলে মহিলা কর্মীদের কাজ করতে সমস্যা হয়। তাঁরা ম্যানেজারের কাছে লিখিত ভাবে এই বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। আর তারপরই ওই ম্যানেজার এমন নির্দেশ দেন। এরপরই ওই নির্দেশকে ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, কোনও ব্যাংক কি এমন নির্দেশ দিতে পারে? এই প্রসঙ্গে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে ফৌজদারি ও পারিবারিক আইন বিশেষজ্ঞ শচীন নায়েকের দাবি, বিকিনি কিংবা অন্তর্বাস পরে নিশ্চয়ই ব্য়াংকে আসা যায় না। অন্যথায় গ্রাহকরা নিজেদের ইচ্ছেমতো পোশাক পরে ব্যাংকে আসতে পারেন। তবে যদি কোনও গ্রাহক নগ্নতার প্রদর্শন করেন তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা যায়। কিন্তু হাফপ্যান্ট, ফুলপ্যান্ট বা সাধারণ পোশাকের ক্ষেত্রে কোনও রকম নির্দিষ্ট পোশাকের উপরে এভাবে নিষেধাজ্ঞা চাপানো যায় না। এরই সঙ্গে আইনজীবীর বক্তব্য, ব্যাংক এমন নির্দেশ জারি করলেও গ্রাহকরা তা মানতে বাধ্য নন। এমনকী, কেউ হাফপ্যান্ট পরে ব্যাংকে প্রবেশ করলে কারও বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও করতে পারবেন না ওই ম্যানেজার। তবে তিনি চাইলে ক্ষমতাবলে কাউকে ব্যাংকে প্রবেশে বাধা দিতেই পারেন।