আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো কর্মসূচি। তার আগে আগামীকাল বিকালে দিল্লীর রামলীলা ময়দানে কংগ্রেসের জনসভায় বক্তৃতা রাখবেন রাহুল গান্ধী। ১০ দিনের বিদেশ সফর শেষ করে আজ বিকালেই দেশে ফেরার কথা তাঁর। জানা গিয়েছে, আজ সন্ধ্যায় কংগ্রেসের প্রথমসারির নেতাদের একটি দল তাঁর সঙ্গে দেখা করে ফের রাহুলকে অনুরোধ করবেন দ্বিতীয়বার দলের দায়িত্ব নিতে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ থেকে ২০১৯, দু-বছর কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন সোনিয়া পুত্র। তাঁর নেতৃত্বে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগড়ে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে। গুজরাতে ক্ষমতা দখল করতে না পারলেও ভাল ফল করে কংগ্রেস। কিন্তু ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের নৈতিক দায় নিয়ে দলীয় সভাপতির পদ ছেড়ে দেন রাহুল। এখনই আর সভাপতির পদে বসতে নারাজ তিনি, এমনটাই গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি।
এদিকে, কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচনের জন্য ভোটের নির্ঘণ্ট ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে। সোনিয়া গান্ধী চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাড়ি দেওয়ার আগে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ মহল থেকে বলা হয়, কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভানেত্রী চান রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতি হোন। কিন্তু গেহলট নিজে এই ব্যাপারে রাজি নন। তবে সোনিয়া, রাহুলরা চাপ দিলে তিনি হয়তো প্রস্তাব ফেলতে পারবেন না।
কিন্তু গেহলট গান্ধী পরিবারের সমর্থনে ভোটে দাঁড়ালে তাঁর বিরুদ্ধে শশী থারুর, মনীশ তিওয়ারির মতো নেতারা প্রার্থী হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সলমন খুরশিদ, মল্লিকার্জুন খাড়গে, কেসি বেনুগোপাল, জয়রাম রমেশ, দিগ্বিজয় সিং প্রমুখ মনে করছেন, রাহুল ফের কংগ্রেস সভাপতি পদের দায়িত্ব না নিলে দল আড়াআড়িভাবে ভেঙে যাবে। আর তাই আজই তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন দলের প্রথমসারির নেতারা।