সম্প্রতি রাজনৈতিক মহলে ‘নতুন তৃণমূল’ নিয়ে চলছিল বিস্তর জল্পনা। এবার সেই জল্পনা-কল্পনায় ইতি টানলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের একটাই মুখ। তা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি অভিষেক জানিয়ে দিলেন, মানুষ যে রূপে তৃণমূলকে দেখতে চায়, সেভাবেই গড়ে উঠবে নতুন তৃণমূল। কিছুদিন আগেই ধূপগুড়ির সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে এসেছিলেন, আগামী ছ’মাসের মধ্যে নতুন তৃণমূল তৈরি হবে। মানুষ যেভাবে তৃণমূলকে দেখতে চায়, সেভাবেই দলকে গড়ে তোলার দায়িত্ব তাঁর এবং দলের কর্মীদের। অভিষেকের সেই মন্তব্যের কিছুদিন বাদেই কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে অভিষেকের ছবি-সহ বেশ কিছু পোস্টার-ব্যানার লাগানো হয়। তাতেও লেখা ছিল, “আগামী ছ’মাসের মধ্যে সামনে আসবে নতুন তৃণমূল।” তাহলে কী তৃণমূলের খোলনলচে বদলে ফেলতে চাইছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক? উঠছিল প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার কয়লাকাণ্ডে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের পর নতুন তৃণমূল নিয়েই ব্যাখ্যা দিলেন অভিষেক। সব বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে তিনি বললেন, “নতুন তৃণমূল মানে সেই তৃণমূল যারা বামেদের মতো বিভীষিকাকে সরিয়েছে। নতুন তৃণমূল মানে সেই তৃণমূল যারা লড়াইয়ের ময়দানে ভয় পায় না। নতুন তৃণমূল মানে সেই তৃণমূল যাঁদের এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখানো যাবে না। যারা মাঠে ময়দানে নেমে মানুষের কাজ করবে। নতুন তৃণমূল মানে সেই তৃণমূল ২০১১ সালে, যাদের মানুষ ক্ষমতায় এনেছিল।” এদিন অভিষেক ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, নতুন তৃণমূল গঠনের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। আসলে অভিষেক বেশ কিছুদিন ধরেই সংগঠনে রদবদলের কাজ করছেন। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি জেলার ব্লকস্তরের সংগঠনের রদবদল করেছে তৃণমূল। “নতুন তৃণমূল তৈরির প্রক্রিয়া ওই রদবদলগুলির মাধ্যমেই শুরু হয়ে গিয়েছে। জেলা বা ব্লকস্তরে যারা যারা আসছেন, তাঁরা সকলেই মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য। সেটা ধীরে ধীরে বোঝা যাবে”, এমনটাই জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।