বাংলার পর্যটনশিল্পকে উন্নত করতে তুলতে প্রতি বরাবরই বিশেষভাবে উদ্যোগী হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ইতিমধ্যেই নতুন পর্যটনমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে বাবুল সুপ্রিয়কে। পর্যটনক্ষেত্রে উন্নয়ন আনতে তিনি প্রবলভাবে আগ্রহী। করোনাভাইরাস আবহে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছিল পর্যটন শিল্পের। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে এবার দুর্গাপুজোকেই পাখির চোখ করা হচ্ছে। কলকাতায় হোম স্টে’র পরিকল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য। বাইরে থেকে যাঁরা এই রাজ্যে দুর্গাপুজো দেখতে আসবেন, তাঁরা যেন সুলভে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা পান, সেজন্যই এই উদ্যোগ। ইতিমধ্যেই বাংলার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে। ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে বৃহৎ শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
নয়া পর্যটনমন্ত্রী বাবুল জানিয়েছেন, এবার দুর্গাপুজোর সময়ে কলকাতায় হোম স্টে চালু করতে চায় রাজ্য। এই বিষয়ে আলোচনা এগিয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। বাবুল বলেছেন, “রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পর্যটন ক্ষেত্রকে আরও চাঙ্গা করার জন্য একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এবার দুর্গাপুজোকে কাজে লাগানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই ৭টি সাব কমিটি গঠন করেছেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থেকে শুরু করে ধর্মীয় স্থান, প্রতিটি ক্ষেত্রকে মাথায় রেখে পর্যটন শিল্পকে কী ভাবে আরও আকর্ষণীয় করা যায় তাই নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।” পাশাপাশি বাবুল সুপ্রিয় জানান, যাঁরা মনে করেন দেশের সবথেকে বড় পুজো মানেই গণেশ পুজো, তাঁদের একবার কলকাতায় এসে দুর্গাপুজো দেখে যাওয়া উচিত। “ভারতে বিদেশি পর্যটক আসার নিরিখে রাজ্যগুলির মধ্যে বাংলা ৭ নম্বরে রয়েছে। এবার সময় হয়েছে আরও বড় স্বপ্ন দেখার। সেটা হল কলকাতায় হোম স্টে। ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানানোর মিছিলে হাজির ছিলেন প্রচুর বিদেশি পর্যটক। যাঁরা ভাবতে শুরু করেছেন দুর্গাপুজোয় কলকাতায় থাকবেন। সবদিক চিন্তাভাবনা করে এবার কলকাতায় হোম স্টে করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে”, জানিয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী।