তোলপাড় অব্যাহত ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে। ইতিমধ্যেই সে রাজ্যে রাজনৈতিক অচলাবস্থার সম্ভাবনা ঘনীভূত হয়েছে। সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে ইস্তফা দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ফের নতুন করে সরকার গঠনের দাবি জানাতে পারেন তিনি৷ নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগে বিধায়ক হিসেবে হেমন্ত সোরেনের অপসারণ সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করা হচ্ছে৷ আজ বিকেলেই রাজ্যপাল রমেশ ব্যাসের সঙ্গে দেখা করবেন জেএমএম-কংগ্রেস জোটের নেতারা৷ মুখ্যমন্ত্রী নিজেও রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে পারেন৷ তার পরেই সব স্পষ্ট হতে পারে।
প্রসঙ্গত, নিজের নামে খনি লিজ দেওয়ার অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি তোলে৷ অভিযোগ খতিয়ে দেখে হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজের পক্ষেই সুপারিশ করে নির্বাচন কমিশন৷ নির্বাচন কমিশনের সেই সুপারিশ জমা পড়ে রাজ্যপােলর কাছে৷ রাজ্যপালও তাতে সম্মতি জানিয়েছেন বলে খবর৷ এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রের মতো ঝাড়খণ্ডেও বিজেপি জেএমএম কংগ্রেস বিধায়কদের দলে টানার চেষ্টা করতে পারে বলে শাসক জোট আশঙ্কা প্রকাশ করেছে৷ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডি নিজেদের ৩২ জন বিধায়ককে ছত্তিশগড়ের রায়পুরে উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে।