দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক মহলে উঠছিল নানান প্রশ্ন। এবার শেষমেশ হাটে হাঁড়ি ভাঙল। বিজেপি তথা মোদী-শাহের নির্লজ্জ কৌশলকে বেআব্রু করলেন খোদ বিজেপিরই নেতা। ফাঁস হল পদ্মশিবিরের ছক৷ দেশের সংসদীয় গণতন্ত্রে বারবার আঘাত হানছে বিজেপি। বিজেপির বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে দেশের গণতান্ত্রিক পরিসরকে ধ্বংস করার অভিযোগ করেন বিরোধীরা। খোদ বিজেপি নেতার মন্তব্য সেই অভিযোগে মান্যতা দিল।
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, গোয়াসহ একাধিক রাজ্যে দফায় দফায় পিছনের দরজা দিয়ে ‘অপারেশন লোটাস’ চালিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। সংসদীয় গণতন্ত্র, নির্বাচন, সংখ্যাগরিষ্ঠতা, জনাদেশ, আইনসভার সাংবিধানিক অধিকার সবকিছুই কার্যত বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ক্ষমতা দখলের নেশায় মত্ত বিজেপি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও কয়েকটি রাজ্যে ঘোড়া কেনা-বেচা, বা ইডি-সিবিআইয়ের ভয় দেখিয়ে অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। জনাদেশ না থাকলেও কীভাবে কৌশলে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখল করতে হয়, মোদী জমানায় ভারতীয় রাজনীতি তা দেখে ফেলল। বিজেপির এই ছল-কৌশলের রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব দেশের বিরোধীরা। বিজেপির একাংশও এতে খুশি নয়। মোদী-শাহের দল ভাঙনের খেলাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে বিরোধীরা।
