বাংলার আকাশে-বাতাসে এখন পুজোর গন্ধ। যদিও খাতায় কলমে দুর্গাপুজো শুরু হতে একমাস এখনও বাকি। তার আগেই আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার শহর মেতেছে প্রাক দুর্গাপুজোর আমেজে। শহর মাতবে রঙিন মিছিলে। দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দেওয়ায় ইউনেস্কোকে ধন্যবাদজ্ঞাপনের মিছিলে রাজনীতির রং ভুলে সকলকে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন টুইটার বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘দুর্গাপুজো আবেগ। সংকীর্ণ বাধা পেরিয়ে সকলকে একত্রিত করে। আধ্যাত্মিকতা এবং শিল্পকে একছাতার তলায় নিয়ে আসে দুর্গাপুজো’। পাশাপাশি বাংলার দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দেওয়ায় ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ। যাদের ভালবাসা এবং পরিশ্রম এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ।
দুর্গাপুজোকে বিরল সম্মানে ভূষিত করেছে রাষ্ট্রসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান এবং সাংস্কৃতিক বিভাগ ইউনেস্কো। এই সম্মানে বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসবকে ভূষিত করে নিজেদের ওয়েবসাইটে ইউনেস্কো-র তরফে লেখা হয়, ‘ধর্ম এবং শিল্পকলার মেলবন্ধনের একটি প্রকৃত উদাহরণ বাংলার দুর্গোৎসব। অজস্র শিল্পী, শ্রমিকদের প্রতিভার দ্বারা এই উৎসব সমৃদ্ধ হয়। উৎসবকে কেন্দ্র করে শহর ও শহরতলি এলাকায় বৃহৎ আর্ট ইনস্টলেশন এবং প্যাভেলিয়ন তৈরি হয়। সঙ্গে থাকে ঐতিহ্যবাহী ঢাকের বাদ্যি। ভক্তিভরে আরাধনা হয় দেবী দুর্গার। জাত-ধর্ম-বর্ণের ঊর্ধ্বে উঠে সকলেই উৎসবের দিনগুলিতে সামিল হন। পুজোর মণ্ডপগুলিতে সমস্ত রকমের মানুষের ভিড় দেখা যায়। দুর্গাপুজোর মধ্যে রয়েছে ‘বৈচিত্র্যের মাঝে ঐক্য’-র ছোঁয়া। আর ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতি যেন সেই বিষয়টিকেই বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করল’।