বাঙালীর বারো মাসে তেরো পার্বণ। উৎসব অনুষ্ঠান লেগেই থাকে সারা বছর জুড়ে। আর সামনে পুজোও আসছে। ইতিমধ্যেই কেনাকাটা শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই। সাজ পোশাক নিয়ে বিস্তর চিন্তাভাবনায়ও রয়েছেন বহু মানুষ। পুজোর কোন দিন কোনটা পরা যায়! কিন্তু কেমন হবে যদি কী পরবেন তা পুজো উদ্যোক্তারা ঠিক করে দেন? কেন এমন অদ্ভুত নিয়ম মানতে হবে ভাবছেন? বেশ কিছু বছর ধরেই মুম্বইয়ের আন্ধেরিচা রাজা পুজো প্যান্ডেল, গণেশ ভক্তদের কাছে দর্শনের সময় সাবেকি পোশাক কিংবা অন্তত শালীন পোশাক পরার জন্য নোটিস জারি করে। এই বিষয় আন্ধেরিচা রাজার আজাদনগর সার্বজনীন উৎসব সমিতির প্রধান উপদেষ্টা যশোধর ফাঁসে বলেন, ‘‘১২ বছর ধরে আমরা ভক্তদের হাফ প্যান্ট বা হাতাকাটা পোশাক না পরে সাবেকি বা শালীন পোশাক পরার অনুরোধ করে আসছি। গণেশ চতুর্থী একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। তাই আমরা আশা করতেই পারি যে, এই সময় অন্তত ভক্তরা বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম শালীন পোশাক পরবে।’’
পুজো প্যান্ডেলের এক জন মুখপাত্র উদয় সালিয়ান যোগ করেছেন, ‘‘আমরা আমাদের প্যান্ডেলের কাছে কয়েক জোড়া ট্র্যাক প্যান্ট রেখেছি, যাঁরা পোশাকবিধি সম্পর্কে সচেতন নন, তাঁদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করা হয়েছে। দর্শনার্থীরা ট্র্যাক প্যান্ট পরে প্যান্ডেলে প্রবেশ করতে পারে।’’ শুধু এই একটি পুজো কমিটি নয়, মুম্বইয়ের একাধিক পুজো মণ্ডপের তরফে প্যান্ডেলে প্রবেশ করার সময় শালীন পোশাক পরার জন্য প্রচার চালাচ্ছে। গণেশ গলির মুম্বইচা রাজার যুগ্ম সম্পাদক অদ্বৈত পেদামকর বলেন, ‘‘পুজোর সময় কী ধরনের পোশাক পরা উচিত, সে সম্পর্কে আমরা সচেতনতা তৈরি করছি।’ হাফ প্যান্ট, স্লিভলেসে ঢোকা যাবে না মণ্ডপে। মুম্বইয়ে গণেশ চতুর্থীতে ফরমান বিজেপি-শিণ্ডের।