বৈদিক ভিলেজের বৈভবের প্রশিক্ষণ শিবির চলছে। কিন্তু প্রথম দিনেই লাগল জোর ধাক্কা। কারণ এখানেই অনুপস্থিত রইলেন বাংলায় বিজেপির চার মন্ত্রী এবং দুই সাংসদ। যা নিয়ে রাজ্য–বিজেপির অন্দরে তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। যে প্রশিক্ষণ শিবিরে সকলের উপস্থিত থাকার কথা, সেখানেই অনুপস্থিত রইলেন মোট ৬ জন বিজেপি সাংসদ।
সূত্রের খবর, আলিপুরদুয়ারের জন বারলা সেখানে যাননি। কোচবিহারের নিশীথ প্রামাণিক অনুপস্থিত ছিলেন। গরহাজির ছিলেন ডা. সুভাষ সরকার। এমনকী আরও তিনজন সাংসদ সেখানে যাননি। তাঁরা হলেন, বনগাঁর শান্তনু ঠাকুর, ঝাড়গ্রামের কুনার হেমব্রম এবং বর্ধমান–দুর্গাপুরের সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। এই নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়েছে সুকান্ত মজুমদার–সহ বঙ্গ–বিজেপি নেতাদের।
কেন চিন্তায় পড়ল গেরুয়া শিবির? উত্তরবঙ্গে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কার্যত একচ্ছত্র জয় পেয়েছিল বিজেপি। সেখান থেকেই নির্বাচিত এই দুই সাংসদকে মন্ত্রিসভার সদস্য় করা হয়। তাই তাঁদের এই প্রশিক্ষণ শিবিরে অনুপস্থিতি নতুন করে মাথাব্য়থার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার দাবিতে যখন বিজেপি সরব, ঠিক তখনই কলকাতায় দলীয় কর্মসূচিতে উত্তরবঙ্গের সাংসদের গরহাজির থাকা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও ওই ছয় সাংসদ পার্টিকে জানিয়েই বৈঠকে অনুপস্থিত থেকেছেন বলে সূত্রের খবর।