কড়া ভাষায় বিজেপিকে একহাত নিলেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বিধানসভায় আস্থা ভোটের ডাক দিয়েছেন তিনি। সোমবার সেই ভোট শুরু আগে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে আপ সুপ্রিমো তথা দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, “এখানে কাজে আসেনি বিজেপির অপারেশন লোটাস। দিল্লীতে পদ্ম ফোটেনি, পড়ে আছে শুধুই কাদা।” প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা আস্থা ভোটের জন্য সোমবার দিল্লী বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় আপের দখলে রয়েছে ৬২ আসন। মাত্র ৮টি আসনে জিতেছে বিজেপি। এই অবস্থায় আস্থা ভোটে জিততে হলে পদ্ম শিবিরের প্রয়োজন আরও ২৮টি আসন। যা একরকম অসম্ভব বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। সম্প্রতি দলীয় বিধায়কদের কিনে তাঁর সরকার ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। গেরুয়াশিবিরে যোগ দিতে আপের এক একজন বিধায়ককে ২০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। এই আবহে গত সপ্তাহে দলীয় বিধায়কদের নিয়ে নিজের বাসভবনে বৈঠক করেছিলেন কেজরিওয়াল। কিন্তু সেখানে ৬২ জন বিধায়কের মধ্যে ৫৩ জন উপস্থিত থাকায় শুরু হয় গুঞ্জন। এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কেজরিওয়াল জানান, বাকি বিধায়করা রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতি সৌধে গিয়েছেন।
উল্লেখ্য, আস্থা ভোটের আগে ফের একবার সেই প্রসঙ্গ তোলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “রাজঘাটে গিয়ে সততার শপথ নিয়েছিলেন আপ বিধায়করা। বিজেপি মোট ৪০ জন আপ বিধায়ককে কিনতে চেয়েছিল। কিন্তু একজনকেও কিনতে পারেনি।” দু’দিন আগেই গেরুয়া শিবিরকে ‘সিরিয়াল কিলার’ বলে কটাক্ষ কেজরিওয়ালের। তিনি বলেন, ”একের পর এক রাজ্যের সরকারগুলিকে শেষ করতে চাইছে বিজেপি। দেশের নয়া সিরিয়াল কিলার। ধারাবাহিকভাবে একের পর এক রাজ্য সরকার ওদের নিশানায়।” একইসঙ্গে দিল্লিতে সরকার ফেলে দেওয়ার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ”আমি আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে চাই। ওঁরা দেখুক আপ এক বিধায়ককেও হারায়নি।” কেজরিওয়ালের অভিযোগ, গোটা দেশ থেকে ৬,৩০০ কোটি টাকায় বিভিন্ন দলে ২৭৭ জন বিধায়ক কিনেছে বিজেপি। এই টাকা এল কোথা থেকে? প্রশ্ন তোলেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই তোলপাড় দিল্লীর রাজনীতি। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ভয় দেখিয়ে ভাঙিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ এনেছে আপ। তাদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি-সিবিআইকে ব্যবহার করে ভয় দেখিয়ে সরকার ভাঙতে চাইছে পদ্মশিবির।