সোমবার মেয়ো রোডে টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবসের সভা থেকে ফের একবার বিজেপি তথা মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের ছাত্র-যুব সম্প্রদায়কে উজ্জীবিত করার পাশাপাশি এদিন শুভেন্দু অধিকারীকেও ফের আক্রমণ করেন তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে অভিষেক বলেন, ‘তোমাকে যদি আদালতে ল্যাজে গোবরে না করি তাহলে আমার নাম অভিষেক বন্দোপাধ্যায় নয়।’
তাঁর কথায়, ‘তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের সামনে মাথা নীচু করবে, দিল্লীর কাছে নয়। শুভেন্দু অধিকারী বেইমান, গদ্দার, ঘুষখোর। ভাববাচ্যে না বলে সরাসরি অভিষেককে তোলাবাজ বলো। তাহলে হাইকোর্টে নিয়ে যাব ১০ দিনের মধ্যে।’ এরপরেই অভিষেকের হুঙ্কার, ‘কোভিডের কারণে দু’বছর সমাবেশ বন্ধ ছিল। ২১ জুলাইয়ের মতোই রেকর্ড সমাবেশ। ১০-০ গোলে হারাব। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে লড়াই পরে করবে, আগে তো আমাদের সঙ্গে লড়াই কর। দেশনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমরা আছি। আজকের সভার আওয়াজে দিল্লী আর গুজরাত যেন কাঁপে।’
তৃণমূল সাংসদের দাবি, ‘বলছে তৃণমূল বেইমানি করছে, কীসের বেইমানি? কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার দেওয়া? বিজেপির অশ্বমেধের ঘোড়া থামিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেটাই রাগ ওদের৷ গায়ের জ্বালা এটাই ওদের৷ বাগদার একটা গ্রামে শিশু-সহ মাকে ধর্ষণ করছেন। এটাই মোদী-শাহের নতুন ভারত। এই বিএসএফের নাকের ডগা দিয়ে গোরু পাচার হয়৷ সিআইএসএফ থাকলেও কয়লা পাচার হয়। পাচারের টাকা কেন্দ্রে যায়। এটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কেলেঙ্কারি।’ তাঁর সংযোজন, ‘এই যে আজকে এত বড় সমাবেশ, দেখবেন আবার চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই কিছু একটা করবে। কারণ ওদের রাজনৈতিক ভাবে লড়ার ক্ষমতা নেই। আর আমরা মাথা নত করব না।’