ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো প্রকাশ করেছে, গত বছরের চেয়ে ৬.১% বেড়েছে আত্মহত্যার হার! ভারতে ২০২১ সালে আত্মহত্যার হার এখনও পর্যন্ত নথিবদ্ধ পরিসংখ্যানের নিরিখে সব চেয়ে বেশি বলে জানিয়েছে তারা। যা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব মহলেই উদ্বেগের ছায়া। আত্মহত্যার হার যে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নেই, তার এক সাম্প্রতিক দৃষ্টান্ত চুঁচুড়ায়। আত্মহত্যা করলেন বিজেপির হুগলি মণ্ডলের কর্মী অভিষেক চৌধুরী। চুঁচুড়ার কেওটার একটি ক্লাবের সম্পাদক কুনাল সরকার নামক এক ব্যক্তি বিজেপির হুগলি মণ্ডলের কর্মী অভিষেক চৌধুরীকে বেশ কিছু দিন ধরেই নাকি গুলি করে মারার হুমকি দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। সেই আতঙ্কেই নাকি ভুগছিলেন অভিষেক। সোমবার ভোর ৪:৩০ নাগাদ অভিষেক ফেসবুকে লাইভ করে আত্মহত্যা করেন। তাঁর দেহ চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে গেছে তাঁর পরিবার। করোনা-পরবর্তী সময়ে ভারতীয় জনগণ একটা মানসিক সুস্থতার আস্বাদে পাচ্ছিল বলে যেটা মনে হচ্ছিল, সেই ভাবনায় এটা বড় ধাক্কা। পাশাপাশি আরও একটি তথ্য উঠে এসেছে, দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর প্রবণতা প্রায় প্রাক-অতিমারী সময়ের মতোই।
এই ফলাফল ভারতে ২০২১ সালের দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু এবং আত্মহত্যা এবং ক্রাইম ইন ইন্ডিয়া রিপোর্ট থেকে এসেছে। দুটি রিপোর্টই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন এনসিআরবি দ্বারা প্রকাশিত। শনিবার এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল। তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, আত্মহত্যার মাধ্যমে মৃত্যুর এই হারবৃদ্ধির কারণ মূলত পড়ুয়ারা এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। এঁদের মধ্যেই আত্মহত্য়ার প্রবণতা বেশি করে পরিলক্ষিত হয়েছে। ২০২০ সালে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট মিলেছিল, তাতে অতিমারীকালীন পরিস্থিতির জেরে মানুষের ভেঙে-পড়া মানসিক অবস্থাকেই তৎকালীন আত্মহত্যার ঘটনাবলির পিছনে মূল কারণ হিসেবে ধরা হয়েছিল। তথ্য বলছে, ২০২১ সালে মোট ১৬৪,০৩৩ জন আত্মহত্যার কারণে মারা গিয়েছেন। ২০২০ থেকে এই হার ৭.২% বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৫৩,০৫২ জন। ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ১৩৯,০০০। ১৯৬৭ সালের পর থেকে আত্মহত্যার কারণে মৃত্যুর সর্বোচ্চ হারও এই ২০২১ সালেই।