গতকাল এশিয়া কাপের ম্যাচে ভারত তখন পাকিস্তানকে সবে পরাস্ত করেছে। হার্দিক প্যান্ডিয়া ছয় মেয়ে জয় ছিনিয়ে নিতেই গোটা স্টেডিয়াম জুড়ে উল্লাসে মেতে উঠেছেন ভারতের সমর্থকরা। সেই সময় ক্লাব হাউজে বসে ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সচিব তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর ছেলে জয় শাহও। দেখা যায়, সেই সময়ে তাঁর দিকে একজন ভারতের পতাকা এগিয়ে দেন। কিন্তু মাথা নাড়িয়ে জয় বুঝিয়ে দেন, না তিনি পতাকা হাতে নেবেন না। শাহ-পুত্রর এই কাণ্ড দেখে আগেই টুইটারে তাঁকে দুষেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচি থেকে স্বয়ং অমিত শাহকেও তোপ দাগলেন তিনি। তাঁর কটাক্ষ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হৃদয়ে ন্যূনতম দেশপ্রেম থাকলে ছেলেকে ত্যাজ্যপুত্র করবেন।
প্রসঙ্গত, গরু এবং কয়লা পাচার-কাণ্ড নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই রবিবার রাতের ভারত-পাক ক্রিকেট ম্যাচের ‘বিতর্কিত’ ছবির প্রসঙ্গ তুলে আনেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, এশিয়া কাপে ভারত জেতার পরে অমিত শাহ, যিনি সারা ভারতবর্ষকে দেশপ্রেম শেখান, ‘ঘর ঘর তিরঙ্গার’ কথা বলেন, সেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পুত্র বলছেন, ভারতের পতাকা আমি হাতে ধরব না!’ এর পর আরও সুর চড়িয়ে অভিষেক বলেন, ‘আমি অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ করছি, আপনি নিজেকে ভাবেন কী? দেশপ্রেম এবং জাতীয়তাবাদের রক্ষাকর্তা? ধারক ও বাহক? আপনার হৃদয়-বিবেক, মস্তিষ্কে যদি ভারতের প্রতি ন্যূনতম সম্মান থাকে, তা হলে আপনি হয় আপনার পুত্রকে ত্যাজ্যপুত্র করবেন, নইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন।’
এখানেই না থেমে তৃণমূল সাংসদের আরও কটাক্ষ, ‘এঁরা সারা দেশকে শেখাচ্ছেন দেশপ্রেম কী, আর তাঁদের ছেলে বলছেন, আমি জাতীয় পতাকা ধরব না! যে পতাকার জন্য হাজার হাজার দেশনায়ক আত্মবলিদান দিয়েছেন, সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে কী বলছেন? এঁদের থেকে আমাদের জাতীয়তাবাদের শংসাপত্র নিতে হবে?’ উল্লেখ্য, সোমবার সকালেই টুইটে জয় শাহকে বিঁধেছিলেন অভিষেক। টুইটারে তিনি লিখেছিলেন, ‘অমিতব্যয়ী যুবরাজ জানেন না জাতীয় গর্ব কাকে বলে। জয় শাহ যে ভারতের জাতীয় পতাকা হাতে নিতে চাইলেন না তা আসলে বিক্ষিপ্ত ঘটনা নয়। তা বর্তমান শাসক দলের বৃহত্তর ভণ্ডামিরই প্রতীক। ওরা নাটুকেপনায় পটু, মূল্যবোধ বলে কিছু নেই। জুমলাতে দক্ষ কিন্তু জাতীয়তাবাদের প্রশ্নে অগভীর!’