সপ্তাহের শুরুতেই অত্যন্ত কর্মব্যস্ত দিনে হঠাৎ মেট্রোয় এসি বিভ্রাট। দীর্ঘক্ষণ ব্যাহত কবি সুভাষগামী মেট্রো চলাচল। যে মেট্রোয় এসি বিকল হয়ে পড়েছিল, সেই গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় যাত্রীদের। একটি গোটা ট্রেনের যাত্রীদের এভাবে নেমে যেতে হওয়ায় ব্যস্ত সময়ে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হন তাঁরা। যদিও কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিকের দাবি, দ্রুততার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক হয়েছে মেট্রো চলাচলও। কিন্তু পরবর্তী মেট্রোগুলিতে প্রবল ভিড়ের মধ্যে যাত্রীদের পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ। সোমবার সকাল ৯.৫২-র ডাউন মেট্রোর একটি কামরায় এসি চলছিল না। দমদম থেকে মেট্রোটি ছাড়ার পরই যাত্রীরা সমস্যা টের পাচ্ছিলেন। বেলগাছিয়ায় মেট্রোটি ঢোকামাত্র যাত্রীরা এ বিষয়ে অভিযোগ জানান। তারপরও মেট্রোটি শ্যামবাজার পর্যন্ত চালানো হয়।
সেসময় এসি ঠিক করার চেষ্টা চলছিল বলে দাবি মেট্রো কর্তৃপক্ষের। সেই স্টেশনে নামিয়ে দেওয়া হয় যাত্রীদের। এরপর মেট্রোটি কারশেডে পাঠানো হয়। ১০.১৫ পর্যন্ত সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল মেট্রো পরিষেবা। তারপর মেট্রো চলাচল শুরু হলেও যাত্রীরা ভিড়ের চাপে প্রবল অসুবিধার মধ্যে পড়েন। একটি মেট্রোয় বাড়তি ভিড় হতে থাকে। ফলে মেট্রো চলাচল আরও বিঘ্নিত হয়। সপ্তাহের প্রথম কর্মব্যস্ত দিনে এমন সমস্যায় পড়ে অনেকেরই গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হয়। এই ভিড় সামলানো যে ঝক্কির বিষয়, তা মানছেন মেট্রো কর্মীরা। তবে সিপিআরও একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এসি বিভ্রাট হয়েছিল একটা, দ্রুত পরিস্থিতি সামলানো গিয়েছে। কলকাতা মেট্রোর যাত্রাপথে বিভ্রাট নতুন ঘটনা নয়। মাঝেমধ্যেই কোনও না কোনও কারণে থমকে যায় মেট্রোর চাকা। পাতালপথে আটকে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা। বিশেষত কলকাতায় পুরনো নন-এসি রেক বাতিল হওয়ার পর এসি মেট্রো পুরোদমে পরিষেবা চালু করার পর এই সমস্যা লেগেই থাকে।