ফের বিরোধীদের কণ্ঠরোধের অভিযোগ উঠল মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি কেন্দ্রের বিপক্ষে নানান ইস্যুতে সরব তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। বিরোধিতা রুখতে এবার সেখানেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতিয়ার ব্যবহার করতে চলেছে মোদী সরকার। মোদী আমলে বারবার রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন করতে হাতিয়ার হিসেবে দেশের তদন্তকারী সংস্থাগুলি ব্যবহার করা হয়েছে, এমনটাই অভিযোগ করে অবিজেপি দলগুলো। তেলেঙ্গানার ক্ষেত্রেও একই অস্ত্রে বিরোধী দমনে নামছে মোদীর দল। ইতিমধ্যেই তার তোড়জোড় শুরু দিয়েছে বিজেপি। দিল্লির আবগারি দুর্নীতির ঘটনায় তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে কবিতাকে জেরা করতে চলেছে সিবিআই। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রসঙ্গত, এর আগে মহারাষ্ট্রে বিধায়ক কিনে, পিছন দরজা দিয়ে সরকার গড়েছে বিজেপি, দিল্লী, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যেও অপারেশন লোটাস চালানো হচ্ছে। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন তেলেঙ্গানা।
ইডি-সিবিআইয়ের হুমকি আর নয়ত টাকা; এই দুইয়ে ভর করে একের পর এক রাজ্যের দখল নিচ্ছে গেরুয়া বাহিনী। একইভাবে কেসিআরের কন্যার নাম সিবিআইয়ের খাতায় লিখে দিয়েছেন শাহ-মোদীরা। এই খবর চাউর হতেই তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি সরব হয়েছে। তেলেঙ্গানার অর্থমন্ত্রী হরিশ রাওয়ের সাফ অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি এখন বিজেপির পকেট সংগঠন। তিনি বলছেন, সেই কারণে তদন্তকারী সংস্থাগুলো কেবল বিজেপির বিরোধীদেরই টার্গেট করছে। একজন বিজেপি (BJP)সাংসদ দাবি করছেন, কবিতাকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করবে, এতেই মন্ত্রী স্পষ্ট প্রশ্ন, তদন্তকারী সংস্থার সদস্য না হয়েও ওই সাংসদ কীভাবে জানতে পারছেন? তিনি অভিযোগ আনছেন, বিজেপি নেতাদের কথাতেই এখন সিবিআই চলছে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ওই বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছেন কেসিআর-কন্যা। বিজেপির দুই নেতাকে এহেন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ১২ই সেপ্টেম্বর হতে পারে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।