গত ২২শে আগস্ট ছিল কিংবদন্তি নাট্যব্যক্তিত্ব তথা অভিনেতা শম্ভু মিত্রের জন্মদিন। সেই উপলক্ষ্যেই ২৩শে আগস্ট আইসিসিআর-এ বাংলা নাট্য জগতের কিংবদন্তিদের তাঁদের অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শম্ভু মিত্র বঙ্গ নাট্য সম্মান প্রদান করা হয়েছে। এই সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানটি শিঞ্জিনী চক্রবর্তীর মস্তিষ্কপ্রসূত। শম্ভু মিত্রের রক্তকরবী শ্রুতি নাটকের মাধ্যমে এদিনের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল। এরপরই ভানু বিশ্বাস এবং মহম্মদ আলীকে টেকনিশিয়ান অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়েছিল। কিংবদন্তি অভিনেতা চপল ভাদুড়ীকে জীবনকৃতি সম্মাননা প্রদান করা হয়। পরিচালক বিভাস চক্রবর্তী, প্রবীর গুহ, অরুণ মুখার্জি এবং সঙ্গীত পরিচালক মুরারী রায়চৌধুরীকেও সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।
পাশাপাশি, নাটকের কিংবদন্তি সঙ্গীত পরিচালক মুরারি রায়চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শিঞ্জিনী। মুরারী রায়চৌধুরীর সঙ্গীত পরিচাল না করা ৭২টি নাটকের থেকে ৬টি গান নিয়ে একটি সঙ্গীত অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করা হয়। দেখালেন তো দেওয়াঙ্গাজির রংবাজি, চোরসা নদী গো গানগুলো দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছিল।।দর্শকদের জন্যে চমক ছিল চপল ভাদুড়ীর অভিনয়। আত্মজনের একটি অংশ পরিবেশন করেন সায়ক। সায়ক এবং দমদম শব্দমুগ্ধকে বিশিষ্ট নাট্যদল হিসাবে সম্মানিত করা হয়। মার্চেন্ট অফ ভেনিসের একটি অংশ মঞ্চস্থ করে কালিন্দী নাট্যসৃজন সংস্থা। প্রখ্যাত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে পৌলমী বসু চট্টোপাধ্যায় এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিলেন।
পাশাপাশি, সন্ধ্যার অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল অভিনেতা শুভাশিস মুখোপাধ্যায় এবং ঈশিতা মুখোপাধ্যায় পরিচালনায় নটকের একাল সেকাল শীর্ষক একটি বৈঠক। শিঞ্জিনী চক্রবর্তীর কথায়, তার মা প্রয়াত দীপ্তি চক্রবর্তীর স্মরণে তিনি এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন। দীপ্তি দেবী ছিলেন আদ্যন্ত নাট্যপ্রেমী। একাধারে তিনি ভাষাবিদ এবং শিক্ষাবিদও ছিলেন। পেশাগতভাবে তিনি শিক্ষকতা করতেন। বিল্বদল চ্যাটার্জির সঙ্গে অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন সুজয় দাস। সোল অফ টিউনস এবং ড্যাফোডিল ইনকর্পোরেটের যৌথসহযোগিতায় আয়োজন করা হয়েছিল উক্ত অনুষ্ঠানটির।