পরিস্থিতি এমনই হয়েছিল যে কিছুদিন আগেই ত্রিপুরায় তড়িঘড়ি মুখ্যমন্ত্রী বদল করতে হয়েছিল বিজেপিকে। এবার সে রাজ্যে জোর ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবির। এডিসির বিরোধী দলনেতা হংস কুমার ত্রিপুরা যোগ দিলেন তিপ্রামোথায়। একইসঙ্গে আগামী কয়েকদিনে একাধিক বিজেপি নেতা দল ছাড়বেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, এডিসি’র ভোটে হার হয়েছিল বিজেপির। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে উঠে আসে তিপ্রামোথা। ত্রিপুরা রাজ্যে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রাজনীতিকদের বক্তব্য, এডিসির বিরোধী দলনেতা হংসকুমার ত্রিপুরা তিপ্রামোথাতে যোগ দেওয়াতে পাহাড় রাজনীতিতে কিছুটা হলেও পিছিয়ে গিয়েছে গেরুয়া বাহিনী। ভিলেজ ভোটের ঠিক আগেই প্রদ্যুৎ কিশোরের এই মাস্টার স্ট্রোক নিঃসন্দেহে পাহাড় রাজনীতির জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার রাজ্য সফরের আগে গেরুয়া শিবিরে তিপ্রামোথার এই আঘাত বিজেপির জন্য অশনি সংকেত বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
গত মঙ্গলবার মানিকপুরে তিপ্রামোথার এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এই জনসভার আকর্ষণের মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন তিপ্রামোথা চেয়ারম্যান প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন ও হংসকুমার ত্রিপুরা। এবার হংস কুমার ত্রিপুরা সদর্পে বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করে জানিয়েছেন, ‘তিপ্রামোথার গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের আন্দোলনকে তিনি সমর্থন করছেন। এই লড়াই তিপ্রাদের জন্য। একমাত্র তিপ্রামোথা তিপ্রাদের স্বার্থের জন্য লড়াই করছে। এই কারণেই বিজেপিতে বড় পদে থাকা সত্ত্বেও তিনি গেরুয়া শিবির ত্যাগ করে যোগ দিয়েছেন মোথায়।’