দীর্ঘদিন এনডিএ জোটে থাকলেও কিছুদিন আগেই আচমকা বিজেপির হাত ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন তিনি। আর এবার চব্বিশের লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে বিরোধীদের এক জোট হয়ে সেই বিজেপির বিরুদ্ধেই লড়াইয়ে নামার আহ্বান করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। গতকাল বিহার বিধানসভায় আস্থা ভোটের আগে ওই আহ্বান করেন তিনি। নীতিশের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ বিজেপি বিধানসভা ওয়াকআউট করায় ধ্বনি ভোটেই নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে মহাজোট। নীতিশ জানান, মোদী সরকার কী ভাবে ভুল নীতি, জাতপাত ও ধর্মের নামে বিভাজনের রাজনীতি চালু রেখেছে তা তুলে ধরতে আগামী দিনে দেশ জুড়ে প্রচারে নামার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।
এদিকে, আস্থা ভোটের আগে আজ নীতিশের মহাজোটের অন্যতম বড় সঙ্গী আরজেডি-র তেজস্বী যাদব-সহ বিভিন্ন নেতার শপিং মল এবং সংস্থায় (দিল্লি ও গুরুগ্রামে) তল্লাশি চালায় সিবিআই। আস্থা ভোটে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই ওই তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, বোঝাই যাচ্ছে, আরজেডি শিবিরের উপর চাপ বাড়াতে এই তল্লাশি। আগামী দিনে সিবিআইয়ের মাধ্যমে আরজেডি তথা নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন মহাজোটকে চাপে রাখার কৌশল নেবে মোদী সরকার। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তেজস্বীর মা রাবড়ী দেবী বলেন, ‘সিবিআই বা ইডি আমরা কাউকে ভয় করি না। কোনও তদন্তকারী সংস্থার চাপে মাথা নত করবে না দল।’
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে বিহারে এনডিএ সরকারে বিধানসভার স্পিকার ছিলেন বিজেপির বিজয় কুমার সিংহ। তিনি পদে থাকলে আস্থা ভোটে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারেন, ওই যুক্তিতে বিধানসভা অধিবেশন শুরু হতেই স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে শাসক শিবির। পরাজয় নিশ্চিত জেনে ভোটাভুটির আগে পদ থেকে ইস্তফা দেন বিজয়। এরপরে বক্তৃতায় বর্তমান বিজেপি নেতৃত্বের তীব্র সমালোচনা করেন নীতীশ। তিনি বলেন, ‘অতীতে অটলবিহারী বাজপেয়ী ও লালকৃষ্ণ আডবাণী জমানায় শরিকদের সম্মান করা হত। আমার প্রতিটি কথা সম্মান দিয়ে বিবেচনা করা হত। এখন বিজেপিতে আর সেই সংস্কৃতি নেই। এমনকি, এনডিএতে আমাদের দল থেকে কে মন্ত্রী হবেন, তাও বিজেপি ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।’