ভয়ংকর অপরাধের সাক্ষী হল মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুর। এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠল তারই দুই তুতো দাদার বিরুদ্ধে। নাবালিকাকে ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় ধর্ষণ করা হয় ঠাকুমাকেও। এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার বাবা। তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৬ বছরের নির্যাতিতা ও তাঁর বাবা মুম্বইয়ের বাসিন্দা। ১১ আগস্ট জব্বলপুরে কাকার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল নাবালিকা। প্রথমবার ১৩ আগস্টে দুই তুতো দাদা তাকে ধর্ষণ করে এবং নির্মমভাবে মারধর করে বলে অভিযোগ। পরবর্তী বেশ কয়েকদিন ধরে এভাবেই নৃশংস অত্যাচার চলতে থাকে। ১৯ আগস্ট তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানে পরদিন তার মৃত্যু হয়।
গত মঙ্গলবার মেয়েকে গণধর্ষণ ও মারধরের কথা পুলিশকে জানান নাবালিকার বাবা। তার আগে নাবালিকার ঠাকুমা গোটা ঘটনার কথা জানান তাঁর ছেলেকে। নাবালিকাকে অত্যাচারের বিরোধিতা করায় বৃদ্ধাকেও ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। জব্বলপুরে এএসপি প্রদীপ কুমার জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ২৩ আগস্ট মৃতার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। ঠাকুমাও ধর্ষিতা হয়েছেন মেডিক্যাল পরীক্ষার পর নিশ্চিত করেছে পুলিশ।