তাহলে শেষমেশ ঢোঁক গিলতে বাধ্য হল মোদী সরকার? ইঙ্গিত তেমনটাই। ক্রমশ চাপ ও বিতর্কের জেরে দিল্লী ডেভেলপমেন্ট অথরিটি পার্কে দুর্গা পুজোর আয়োজনে পিছু হটল কেন্দ্র। ফলত ডিডিএ পার্কে পুজো হলে আগের মতোই বাসনপত্রও ধোয়া যাবে। করা যাবে ভোগ রান্নাও। স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তির হাওয়া দিল্লীর বাঙালি মহলে। বাসনপত্র ধোওয়া এবং ভোগ রান্না নিষিদ্ধ করার জন্যে ১০ লক্ষ টাকা সিকিউরিটি ডিপোজিট নেওয়ার কথা জানিয়েছিল মোদী সরকার। এবার পুজো কমিটিগুলিকে তাও দিতে হবে না। ডিডিএ পার্ক বুকিংয়ের জন্যে উদ্যোক্তাদের ২০১৯ সালের নির্ধারিত মূল্য অনুসারেই সিকিউরিটি ডিপোজিট জমা দিতে হবে।
এপ্রসঙ্গে পূর্বাঞ্চল বঙ্গীয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মৃণালকান্তি বিশ্বাস জানিয়েছেন, সরকারের উপর চাপ তৈরি করায় তাতে কাজ হয়েছে। প্রসঙ্গত, ডিডিএ পার্ক বুকিংয়ের জন্য ২০১৯ সালে প্রতি স্কোয়ার মিটারে ২৪ টাকা করে সিকিউরিটি ডিপোজিট নেওয়া হত। বৃদ্ধি করে স্কোয়ার মিটার প্রতি ৬৬ টাকা করা হয়েছিল। তা কমিয়ে আবার ২৪ টাকা প্রতি স্কোয়ার মিটার করা হয়। সিকিউরিটি ডিপোজিটের পরিমাণ আরও কমানোর আবেদন করা হয়েছে। মোদী সরকারের পিছিয়ে আসার নেপথ্যে ভোটের রাজনীতিকেই দায়ী করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর আয়োজকদের সঙ্গে সঙ্গে রামলীলার উদ্যোক্তাদেরও জন্যেও এই একই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। যার জেরে শুরু হয়েছিল তুমুল বিতর্ক। সমালোচনায় সরব হয়েছিল একাধিক মহল।