একশো দিনের কাজের প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা অব্যাহত। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে মোদী সরকার। এবার কি বাংলার কেরোসিন বরাদ্দেও টান পড়তে চলেছে? ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে তেমনটাই। আগামীদিনে রাজ্যের কেরোসিন বরাদ্দ যে কমবে না, এমন কিছুই আর নিশ্চিত করতে পারছে না মোদী সরকার। সম্প্রতি দিল্লী গিয়ে পেট্রোলিয়াম প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলির সঙ্গে দেখা করেন বাংলার কেরোসিন ডিলারদের সংগঠনের প্রতিনিধি দল। তাদের আলোচনায় বাংলার কেরোসিনের কোটার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, কেরোসিনের বরাদ্দের বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যে মামলা চলছিল তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। কেরোসিন ডিলারদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অশোক গুপ্তের কথায়, তারা মোদী সরকারের মন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছিলেন কেরোসিনের কোটা যেন না কমানো হয়। উত্তরে মন্ত্রীর তরফে কোন আশ্বাস মেলেনি। অশোকবাবু জানান, বিজেপিশাসিত কেন্দ্র সরকারের মন্ত্রী বাংলাকে বেশি পরিমাণে কেরোসিন দেওয়া ও মামলা প্রত্যাহারের কথা বলেছেন কেবলমাত্র। কেরোসিনের কোটা কমার বিষয়টি নিয়ে তারাও উদ্বিগ্ন।
এপ্রসঙ্গে উল্লেখ্য, রাজ্যগুলিকে একই সঙ্গে তিনমাসের জন্যে কেরোসিনের বরাদ্দ করা হয়। ইতিমধ্যেই সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত কেরোসিন বরাদ্দ রয়েছে। শোনা যাচ্ছে, সেপ্টেম্বর মাসের শেষে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের কেরোসিনের বরাদ্দের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে কেন্দ্রের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। যদিও বিগত দুই বছর ধরে অন্যান্য রাজ্যের ক্ষেত্রে কেরোসিনের বরাদ্দ কমলেও, কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলায় স্থগিতাদেশ থাকায় বাংলার বরাদ্দ কমাতে পারেনি মোদী সরকার। দেশের অন্য সব রাজ্যগুলি একত্রে প্রতি মাসে প্রায় ৯০ হাজার কিলোলিটার কেরোসিন পায়, সেখানে বাংলা একাই পায় প্রায় ৬০ হাজার কিলোলিটার কেরোসিন পায়। এই বরাদ্দ বন্ধ করতেই এখন উঠে পড়ে লেগেছে মোদী সরকার। যা নিয়েই বইছে বিতর্কের ঝড়। সরব হয়েছে একাধিক মহল।