এবার পাশবিক ঘটনা ঘটল রাজধানী দিল্লীতে। মায়ের সঙ্গে সম্পর্কের কথা জেনে যাওয়ায় এবার এক নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর কুপিয়ে খুন করল এক ব্যক্তি। শুধু তাই নয়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলার নলিও কেটে দেওয়া হয় বাচ্চা মেয়েটির। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মধ্য দিল্লীর যমুনা খাদার এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম রিজওয়ান ওরফে বাদশা। তার মাংসের দোকান আছে। বাদশা বিহারের বাসিন্দা। বছর কুড়ি আগে দিল্লীতে এসে দোকান খোলে। তারপর থেকে যমুনা খাদার এলাকার কাছেই থাকে সে। মদ্যপ, নেশাগ্রস্থ বাদশাকে চেনে এলাকার অনেকেই। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বাচ্চা মেয়েটির মায়ের কাছে মাঝেমধ্যেই আসত বাদশা। এখানে এসে নেশা করে পড়ে থাকত। তার কাছে নানারকম মাদক থাকত। ওই মহিলার চার ছেলেমেয়ে। তাদের মধ্যে ছোট মেয়েটাকে মাঝেমাধ্যেই শাসানি দিত বাদশা।
গত ৫ আগস্ট রাতে যখন পরিবারের সকলে ঘুমোচ্ছিল তখন বাচ্চা মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বাদশা। সকালে উঠে মেয়েকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে থানায় নিখোঁজ ডায়রি করেন ওই মহিলার স্বামী। নাবালিকাকে খুঁজতে গিয়েই ভয়ঙ্কর দৃশ্য চোখে পড়ে পুলিশের। যমুনা খাদার এলাকার কাছে একটি নির্জন জায়গায় নাবালিকার ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির পরনে কিছু ছিল না। সারা শরীর কোপানো হয়েছিল। মুখ ও গলা ছিন্নভিন্ন ছিল।
মেয়েটির পরিবার ও এলাকাবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এরপর বাদশার কথা জানতে পারে পুলিশ। খুনের পরেই যদিও গা ঢাকা দিয়েছিল বাদশা। তবে তাকে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করা হয়।