দিল্লী সীমানায় প্রায় এক বছর ধরে চলা ধর্নার পর বাধ্য হয়ে তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে আট মাস পর ফের সেই কৃষক সংগঠনগুলি সরকারের কাছে এমএসপি-র পুরনো দাবি নিয়ে ফিরে এসেছে। এর ফলে দিল্লীতে কৃষক সংগঠনগুলির জমায়েত নিয়ে মোদী সরকার যখন নতুন করে চাপের মুখে, সেই সময়েই শিল্পপতি গৌতম আদানিকে জড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করলেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। তাঁর অভিযোগ, আদানির কথা ভেবেই মোদী সরকার ফসলের ন্যূনতম সাধারণ মূল্য বা এমএসপি-র আইনি নিশ্চয়তা দেওয়ার কথা ভাবছে না। তিনি বলেন, এক দিকে আদানি সব চেয়ে ধনী ব্যক্তি হয়ে উঠছেন আর কৃষকদের লড়তে হচ্ছে এমএসপি-র জন্য।
প্রসঙ্গত, সমস্ত ধরনের ফসলে এমএসপি-র নিশ্চয়তা এবং ঋণমুক্তির দাবি নিয়ে বিভিন্ন কৃষক সংগঠন দিল্লীর যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসেছে। বিকেইউ নেতা রাকেশ টিকায়েত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘দিল্লী পুলিশ সরকারের হয়ে কাজ করছে। তবে তারা কৃষকদের আওয়াজ থামিয়ে দিতে পারবে না। গ্রেফতারি হলে নতুন উদ্যমে কাজ এগোবে।’ এই আবহেই মালিক বলেছেন, ‘এমএসপি-র আইনি নিশ্চয়তা দেওয়া না হলে এবার মারাত্মক লড়াই হবে। দেশের কৃষকদের হারানো সম্ভব নয়। আয়কর, ইডি-র আধিকারিকদের দিয়েও তাঁদের ভয় দেখানো যাবে না।’ সত্যপালের কথায়, ‘আদানিকে বিমানবন্দর, বন্দর, বড়সড় প্রকল্প দিয়ে দেশ বিক্রির প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা এটা হতে দেবো না।’ তাঁর অভিযোগ, কৃষক আন্দোলনের সময়ে সাতশো কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সমবেদনা পর্যন্ত জানায়নি। অথচ দিল্লীতে কোনও পশুর মৃত্যু হলেও শোক জানানো হয়ে থাকে।