যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশে এর আগেও বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। আবারও সামনে এল বড়সড় নিয়োগ কেলেঙ্কারি। অভিযোগ, ভুয়ো মার্কশিট, ডিগ্রি দেখিয়ে চাকরি পেয়েছে কয়েক হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা। তদন্ত একে একে সামনে এসেছে যোগী রাজ্যের কেলেঙ্কারির ছবি। অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে উত্তরপ্রদেশে শিক্ষাব্যবস্থায় জাঁকিয়ে বসেছে দুর্নীতি। ভুয়ো মার্কশিট আর ডিগ্রি দিয়ে চাকরি পেয়ে গিয়েছে কয়েক হাজার যুবক-যুবতী। যার মূলে পৌঁছতে গত তিন বছর ধরে তদন্ত চালাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের প্রাথমিক শিক্ষাবিভাগ এবং স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। তাদের যৌথ তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জাল নিয়োগপত্রের ভিত্তিতে কাজ করার অভিযোগে দুই নারী-সহ পাঁচ হাইস্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলার তিনটি সরকারি স্কুলে এই শিক্ষকরা যোগ দিয়েছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে। যাচাইয়ের সময় প্রয়াগরাজের উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, পাঁচজন ব্যক্তির সকলেই আজমগড়ের। ২০২২-এর জুলাই থেকে ঝাঁসি জেলায় তিনটি ভিন্ন স্কুলে কাজ করছেন তারা৷ পরে সংশ্লিষ্ট অধ্যক্ষ জেলার মৌরানিপুর এবং গারোথা থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি রিপোর্ট দায়ের করেছেন। এই তিন শিক্ষক পঞ্চদেব, নরেন্দ্র কুমার মৌর্য এবং রণবিজয় বিশ্বকর্মা গারোথা তহসিলের খারারুরা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে, বামহোরি সুহাগীর ময়নাবতী এবং মৌরানিপুর তহসিলের ভিরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে নিযুক্ত হয়েছেন। এই পাঁচজনের বিরুদ্ধেই আইপিসির ৪১৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ধারায় মামলা করা হয় এবং জেলে পাঠানো হয়েছে। ঝাঁসি জেলার স্কুল পরিদর্শক ওমপ্রকাশ সিং, “উচ্চ স্তরে যাচাইয়ের সময় পাঁচটি নিয়োগ ভুল এবং অবৈধ পাওয়া গেছে। বিষয়টি প্রয়াগরাজ শিক্ষা অধিদপফতর থেকে বিষয়টি জানার পর আমি পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলাম। আমরা এখন তদন্ত করছি।’