শুরু হয়েছে গিয়েছে ভোটের প্রস্তুতি। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি মানুষের কাছে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী তৃণমূল কংগ্রেস। দলের পাশাপাশি প্রশাসনিক কাজেও স্বচ্ছতা আনতে যথেষ্ট তৎপর হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। জেলা সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত যেসব পদাধিকারীদের বিরুদ্ধে সামান্যতম অভিযোগও উঠেছে, বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁদের। নতুন, স্বচ্ছ ভাবমূর্তিসম্পন্ন নেতাকেই তুলে আনা হচ্ছে তাঁর জায়গায়। যেমন, কোচবিহার এবং নদিয়া উত্তর, শনিবার এই দুই সাংগঠনিক জেলা নতুন করে ঢেলে সাজিয়েছে তৃণমূল। ব্লক, টাউন স্তরে বদলের পাশাপাশি জেলার শ্রমিক সংগঠনগুলিতেও বদল আনা হয়েছে। কোচবিহারের মোট ২২ টি ব্লক, টাউনে প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে কারা থাকছেন, তার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। টুইট করে পদাধিকারীর নাম জানিয়েছে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, ক’দিন আগে একুশের মঞ্চে দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, “তৃণমূল করে খাওয়ার জায়গা নয়। নেতা ধরে পঞ্চায়েতে টিকিট পাওয়া যাবে না।” অভিষেকের ওই হুঁশিয়ারি আর নবান্নের এই চিঠি পাশাপাশি রাখলে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে এবার পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের অনেকেই টিকিট পাবেন না। বিশেষ করে যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাঁদের নির্বিচারে বাদ দেওয়া হবে।হজেলা প্রশাসনকে নবান্ন যে চিঠি পাঠিয়েছে, তাতে মূলত দুটি প্রকল্পের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। তার অন্যতম হল, একশো দিনের কাজ প্রকল্প। নোটিশ বলা হয়েছে, এই প্রকল্পের আওতায় গত এপ্রিল মাস পর্যন্ত যাদের জব কার্ড দেওয়া হয়েছে, তাদের নাম অবিলম্বে জেলা পোর্টালে তুলতে হবে। এ ব্যাপারে পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া, উত্তর দিনাজপুর, বাঁকুড়া, কোচবিহার, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ দিনাজপুর, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমকে সতর্ক করা হয়েছে। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।