কিছুদিন আগেই রাজ্যের বিনামূল্যে সুবিধা দেওয়ার বিষয়টিকে খয়রাতি আখ্যা দিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার তারই পালটা দিলেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
দেশের সকল কৃষকদের ৬০০০ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও জাতীয় সহযোগিতা প্রকল্পের অধীনে ৯৬৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। তবে এগুলি কেন খয়রাতি হবে না? এমনই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বাংলায় যখন কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে কৃষক বন্ধু, স্বাস্থ্য সাথী এবং লক্ষ্মী ভাণ্ডারের মতো একাধিক প্রকল্পগুলিতে সুবিধা পেয়ে চলেছেন সাধারণ মানুষ, তখন সেগুলিকে খয়রাতি আখ্যা দেওয়া কোনও মতেই উচিত নয়। গতকাল এমনই মন্তব্য করেছেন বাংলার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। তাঁর দাবি, ‘বিরোধীরা দিলে তা খয়রাতি হয়ে যায়, কিন্তু যদি প্রধানমন্ত্রী প্রদান করেন, তবে তা জনকল্যাণ! আসলে খয়রাতি প্রসঙ্গে বিজেপির তরফ থেকে বিভ্রান্তি ফেলানো হচ্ছে। এগুলি কেবল প্ররোচনা। আসলে বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্র সরকার আয়নায় নিজেদের মুখ দেখে চলেছেন। খয়রাতি প্রসঙ্গে যদি সমালোচনা করতেই হয়, তাহলে আগে নিজেদের সমালোচনা করা উচিত।’
গতকাল একটি ভিডিয়ো কনফারেন্সে অমিতবাবু বলেন, ‘মোদী সরকার বর্তমানে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিতে খয়রাতির অভিযোগ তুলে চলেছে। আসলে এগুলি দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোর বৃদ্ধি করার পাশাপাশি তা মজবুত করে তোলে। প্রধানমন্ত্রী যদি এগুলিকে খয়রাতি বলে মনে করেন এবং মানুষের কল্যাণে শুরু করা প্রকল্পগুলি বন্ধ করতে চান, তবে উনি নিজে কি করছেন? বর্তমানে দেশে আটটি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের দ্বারা এক লক্ষ কোটি টাকার বেশি কেন্দ্রীয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে, সেগুলি কি আদতে খয়রাতি নয়?’ এরপরেই কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী এবং লক্ষ্মী ভাণ্ডারের মতো জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বাংলায় যে প্রকল্পগুলি শুরু করা হয়েছিল, সেগুলি মানুষের সহায়তা করেছে। করোনা মহামারীর সময় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ বহু উপকার পেয়েছেন। ফলে বর্তমানে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা মিথ্যা। আমাদের কন্যাশ্রী প্রকল্প আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মান পেয়েছে। এটা খয়রাতি কখনই নয়।’