নির্ঘন্ট সময়ের আগেই বর্ষা ঢুকেছে উত্তরে। একটানা বৃষ্টির জেরে ধস নেমেছিল। বিপদে পড়েছিল বহু সাধারণ মানুষ। ফের বিপত্তি পাহাড়ে। মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে হড়পা বান শুরু হল উত্তরাখণ্ডের দেহরাদুনে। শনিবার ভোর থেকেই মেঘভাঙা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। অত্যাধিক বৃষ্টির জেরে বেশ কয়েকজন আটকে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। শুরু করা হয়েছে উদ্ধারকাজ। জানা গিয়েছে, দেহরাদুনের সারখেত গ্রামের উপরে মেঘভাঙা বৃষ্টি নামে। বৃষ্টির শুরু হতেই হড়পা বান নামে ওই এলাকায়। আটকে পড়েন গ্রামবাসীরা। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এসডিআরএফ বাহিনী। শুরু করা হয় উদ্ধারকাজ। জেলা প্রসাশন ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, গ্রামবাসীদের সুরক্ষিতভাবে উদ্ধার করা হয়েছে। কয়েকজন আশেপাশের রিসর্টে আশ্রয় নিয়েছেন। ভারী বৃষ্টির জেরে তোতাঘাটি ও তিনধারায় যাতায়াতের পথও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একাধিক নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। হরিদ্বারের গঙ্গাতেও জল প্রায় বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।
এদিকে, বৃষ্টির জেরে তপকেশ্বর মহাদেব মন্দিরও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। পাশ থেকে বয়ে যাওয়া তমসা নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে। মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা আচার্য বিপিন যোশী বলেন, “গতকাল থেকে লাগাতার বৃষ্টির কারণে তমসা নদী ভয়াবহ রূপ ধরেছে। এর জেরে মাতা বৈষ্ণদেবীর গুহা ও তপকেশ্বর মহাদেব মন্দির জলের তলায় ডুবে গিয়েছে। তবে সম্পত্তির কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।” অন্যদিকে, ভারী বৃষ্টির জেরে জম্মু-কাশ্মীরের কাটরাতেও হড়পা বান নেমেছে। লাগাতার বৃষ্টি ও হড়পা বানের কারণে আপাতত বৈষ্ণদেবীর যাত্রা বন্ধ রাখা হয়েছে। যে সমস্ত পুণ্যার্থীরা মন্দিরে রয়েছেন বা যাত্রাপথে রয়েছেন, তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পুলিশ ও সিআরপিএফ জওয়ানদের পাঠানো হয়েছে উদ্ধারকাজে সাহায্যের জন্য। পৌরি গারওয়াল জেলায় ভারী বৃষ্টিতে ভেসে গিয়ে ৭২ বছর বয়সী এক মহিলার মৃত্যুর খবর মিলেছে। একাধিক বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গতকাল রাত থেকে একটানা বৃষ্টির জেরে লক্ষ্ণণ ঝুলা, দুগাদ্দা, ধুমাকোটে, নালিখাল পোখরির রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গাট্টু ঘাট, পোখাল সহ একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। বন্ধ রাস্তা।